আফগানিস্তানের আজরিস্তান জেলায় স্কুলের জন্য কোনোও নির্দিষ্ট ভবন নেই। টোলো নিউজের রিপোর্ট অনুসারে, গজনি প্রদেশে কোনোরকমে তাঁবু খাটিয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা চালায়। টোলো নিউজ হল একটি আফগান সংবাদ চ্যানেল যা কাবুল থেকে সম্প্রচার করা হয়। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী আজরিস্তানের ১৩টি স্কুলে পড়াশুনা করছে। জেলা শিক্ষা বিভাগের প্রধান মো হানিফ হানাফী বলেন, ”আমাদের ১৩টি স্কুল আছে। কোনো তার জন্য কোনো নির্দিষ্ট ভবন নেই। বাধ্য হয়েই তাঁবু খাটিয়ে অস্থায়ীভাবে লেখাপড়া করতে হচ্ছে বিদ্যার্থীদের”। টোলো নিউজ জেলায় গিয়ে বাসিন্দাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে।
প্রিন্সিপাল সুলতান মোহাম্মদ খান জানান, হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। কারণ শিশুদের নোটবুক, বই এবং অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা যাচ্ছে না। অধ্যক্ষ আব্দুল জলিল জালালের হিসেব অনুযায়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রের সংখ্যা প্রায় ৬০০, তারা ৫টি তাঁবুর নিচে কোনোরকমে পড়াশোনা চালাচ্ছে। কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি বলে আক্ষেপ জানান অধ্যক্ষ। টোলো নিউজের কাছে একজন প্রশিক্ষক আব্দুল হুদোদ বলেছেন, হামাল মাসে খুব বৃষ্টি হয় (২২ মার্চ থেকে এপ্রিল ২২)।
তখন পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ছাত্রদের অন্য জায়গার ব্যবস্থা করতে হয়। শামসুল্লা নামে একজন শিক্ষার্থী জানাচ্ছে, ”আমরা সরকারকে আমাদের একটি কম্পাউন্ড তৈরি করার এবং আমাদের সমস্ত সমস্যার সমাধান করার আহ্বান জানাই। আমাদের বই এবং নোটবুক চাই। ”আরাফাতুল্লাহ নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ”আমাদের স্কুলে কম্পাউন্ড না থাকায় বৃষ্টির সময় আমরা স্কুলে যেতে পারি না।” আফগানিস্তানের তালেবান-নিযুক্ত প্রাদেশিক গভর্নর, হাফিজ মোহাম্মদ আমিন ওমারি বলেছেন যে আজরিস্তানে শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা চলছে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা বিভাগের সাথে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি। আজরিস্তান শিক্ষা বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী- এখানে অন্তত ১৩ টি স্কুল, ৬০টি স্থানীয় ক্লাস, একটি বড় সেমিনারী এবং ১২ টি স্থানীয় সেমিনারী রয়েছে ..এই শিক্ষা কেন্দ্রগুলিতে ছেলে ও মেয়ে সহ মোট ৭,০০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১৫০ বার