জগন্নাথপুরের নলজুর নদীর কাটাগাঙের সেতু ভাঙার এক সপ্তাহ পর পাগলা-জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ-আউশকান্দি-ঢাকা মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়ে সরাসরি যান চলাচল শুরু হয়েছে। ব্রিজটি জোড়াতালি দিয়ে লোহার এ্যাংগেলের টেস দিয়ে চালু করা হয়েছে। সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রামানিক সিলেটভিউ-কে বলেছেন, যাত্রীসাধারনের ভূগান্তির কথা বিবেচনা করে ভাংগা ব্রীজ টি আপাতত মেরামত করে চালু করা হয়েছে। তবে কোন অবস্হায় ১০ টনের অধিক যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। তিনি বলেন,আরসিসি ব্রীজ নির্মানে আগামী একনেক সভায় পাশ হলে দ্রুত ব্রীজ নির্মান করা হবে।
মঙলবার দুপুর থেকে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলা সহ বিভিন্ন উপজেলার যাত্রীরা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছেন। এদিকে অর্থ ও সময় সাশ্রয়ী যাতায়াতের এই সড়কটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন সুনামগঞ্জ জেলার যাত্রীরা। জগন্নাথপুর উপজেলা সদরে যোগাযোগ রক্ষা করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়েন উপজেলার রানীগঞ্জ ও পাইলগাঁও ইউনিয়নের জনসাধারণ। যাত্রীরা গত সপ্তাহ ধরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ও অতিরিক্ত ভাড়া গুনে খেয়ার মাধ্যমে কাঁটাগাঙের সেতুর অংশ পারাপার হয়ে যাতায়াত করেন।
উল্লেখ্য, গত (২২ আগস্ট) বিকেলে নারায়নগঞ্জ থেকে সিমেন্ট ভর্তি একটি ট্রাক জগন্নাথপুরের বাজারের উদ্দেশ্যে আসলে মহাসড়কের জগন্নাথপুর অংশে কাটাগাঙের বেইলি সেতু ভেংগে পড়ে। জরাজীর্ণ সেতু ভেঙে চালক ও হেলপারসহ ট্রাক পানিতে তলিয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা চালক ও হেলপারের মরদেহ উদ্ধার করে। সওজ দায় এড়াতে মৃত চালক ও গাড়ীর মালিক কে আসামি করে ৩ কোটিটাকার ক্ষতিপূরন মামলা করলে এলাকাবাসীর মধ্যে প্রতিবাদের ঝড় উঠে।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১৫২ বার