‘ভালোবাসার রং’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউড পেয়েছিল চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে। ১১ বছরে চলচ্চিত্রের নানা অলিগলি পেরিয়ে মাহিকে দেখা গেছে রাজনীতির মাঠেও। বেশ কয়েক মাস ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। অংশ নেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভা–সমাবেশে। আভাস পাওয়া যাচ্ছিল, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করবেন। আজ শনিবার তার সত্যতা পাওয়া গেল। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন মাহির প্রতিনিধি। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তা জানিয়েছেনও।
আজ সন্ধ্যায় মাহিয়া মাহির সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর। তিনি জানান, তাঁর পক্ষে প্রতিনিধি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। সেই মনোনয়ন ফরম হাতে নিয়ে স্বামী রাকিব সরকার, মা দিলারা ইয়াসমীন, বাবা আবু বকর খোকনসহ একটি স্থিরচিত্র ফেসবুকে পোস্ট করেন। জানালেন, আগামী সোমবার নিজে উপস্থিত থেকে সংগৃহীত মনোনয়ন ফরম জমা দেবেন।
মাহি বলেন, ‘আমার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ। সব সময় ওখানকার মানুষের জন্য কাজ করা হয়। এখন ওখানকার মানুষজন চায়, আমি মনোনয়ন ফরম কিনি। বাকিটুকু আসলে দলের ওপরে নির্ভর করছে। শেষ পর্যন্ত দল যাকে যোগ্য মনে করবে তাঁকে মনোনয়ন দেবে। তারপরও আমি শতভাগ আশাবাদী, দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যাঁরা আছেন, তাঁরা তৃণমূল যাচাই–বাছাই করে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবেন।’ কোন চিন্তাভাবনা থেকে সংসদ নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জানতে চাইলে মাহি বলেন, ‘আমি এখন যতটুকু কাজ করতে পারি, একজন জনপ্রতিনিধির তো আরও বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। সম্ভবও।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ–২ সংসদীয় আসন তিন উপজেলা নিয়ে অনেক বড় আসন। সেখানকার অনেক মানুষের জন্য একজন জনপ্রতিনিধির অসাধারণ সব কাজ করার সুযোগ আছে। একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে তা সব সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। চাইলে তো আসলে সবই করা যায়। ওই জায়গা থেকে ভেবেছি, যদি আমি সংসদ সদস্য হতে পারি, তাহলে অনেক বড় পরিসরে ওখানকার মানুষের জন্য কাজ করতে পারব। নির্দিষ্ট করে বললে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারীদের নিয়ে আমার বড় পরিকল্পনা আছে। সেটার দিকে ফোকাস করব।’
নারীদের জন্য আসলে কী করতে চান—এমন প্রশ্নে মাহি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে সারা দেশে কৃষিকাজের ওপর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আমার এই এলাকাও কৃষিবান্ধব। প্রথমত এদিকটায় ফোকাস করব। দ্বিতীয়ত নারীদের ওপর, যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, তিনি নারী হিসেবে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন, নারী নেতৃত্ব কী, কীভাবে নারীদের মাথা উঁচু করে আত্মমর্যাদা নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। আমিও চাই, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারীরা যেন এগিয়ে যায়, সেটা নিয়ে কাজ করব।’
কী সেই কাজ? তিনি বলেন, ‘বাসায় বসে থেকে কীভাবে নিজে নিজে নারী উদ্যোক্তা হওয়া যায়, আয় করবে। পরিবারের সব নারী সদস্য স্বাবলম্বী হতে পারে। যেহেতু আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের বাসিন্দা, সেই দেশের প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে ঘরে ঘরে উদ্যোক্তা তৈরি করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করব।’
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১২০ বার