অপেক্ষায় ক্ষতিগ্রস্থরা: সুনামগঞ্জে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছায়নি এখনও
আবহাওয়া দূর্যোগপূর্ন থাকায় হাওর পাড়ের কৃষক পরিবারগুলো জেলা ও উপজেলা সদরে এবং কাছাকাছি বাজারে যেতেও পারছে না। হাওর পাড়ের বেশির ভাগ পরিবারেই এখন হাতে নেই নগদ টাকা ও চাল। আর যে সব কৃষক পরিবারের কাছে নগদ টাকা আছে তারাই কেবল বাজারে যাচ্ছে। হাওর ডুবির পরেও সরকারিভাবে কোনো সহায়তা না পাওয়ায় হাওর পাড়ের কৃষক পরিবার গুলোর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে জেলা ও উপজেলার বাজার সহ প্রতিটি বাজারেই চালের দোকান গুলোতে চাল নেই। অনেকেই কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বেশি দামে চাল বিক্রি করছেন। অন্যদিকে জেলা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিস, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ভিজিএফ কার্ডের নামের তালিকায় সঠিকভাবে যাচাই বাচাইয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এক-দুই দিনের মধ্যে জেলায় নামের তালিকা পাঠানো হবে। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল জানান, ‘ক্ষতিগ্রস্থ হাওরবাসীর জন্য দ্রুত ত্রান সামগ্রী পাঠানো প্রয়োজন। ওএমএস চালের পরিমান আরও বাড়ানো উচিত। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ১৫ টাকা কেজির ৪৫ টি ওএমএস কেন্দ্র চালু আছে। আমরা কেন্দ্র দ্বিগুন করার জন্য প্রস্তাব করেছি। আটা কম চলে তাই চালের পরিমান বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি।