প্রবাস ডেস্ক ::
মুক্তিযোদ্ধা ও আবৃত্তিশিল্পী কাজী আরিফের কফিনে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশিরা। শনিবার নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী এই শিল্পীর জানাজায় অংশ নেন। ম্যানহাটানের মাউন্ট সিনাই সেন্ট লিউক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার এই আবৃত্তিকারের মৃত্যু হয়। পেশায় স্থপতি কাজী আরিফের বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি মিথুন আহমেদ জানান, নিউইয়র্ক সময় রোববার রাত ১১টায় এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে কাজী আরিফের মরদেহ দেশে পাঠানো হবে। ঢাকায় কফিন পৌঁছাবে মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টায়। নিউইয়র্কে বাংলাদেশের ভাইস কন্সাল জেনারেল শাহেদ আহমেদ জানান, রাষ্ট্রীয় খরচে কাজী আরিফের মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হবে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনসহ প্রবাসীদের অনেকেই এসেছিলেন কাজী আরিফের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।

জানাজার আগে কাজী আরিফের ভগ্নিপতি আব্দুল করিম সবার কাছে দোয়া চেয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। কাজী আরিফের মেয়ে অনুসূয়াও উপস্থিত ছিলেন এ সময়। জানাজার পর কাজী আরিফের কফিন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সামনে রাখা হলে সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, নির্বাহী সদস্য শাহানারা রহমান, খোরশেদ খন্দকার, উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হাসান; সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ; অভিনেতা জামালউদ্দিন হোসেন; চলচ্চিত্র নির্মাতা কবীর আনোয়ার; বাংলাদেশ আবৃত্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ। যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ড. এম এ বাতেন ও আব্দুল মুকিত চৌধুরী, সেক্টর কমান্ডার ফোরামের যুক্তরাষ্ট্র ইউনিটের আহ্বায়ক রাশেদ আহমেদ, যুগ্ম আহবায়ক লাবলু আনসার ও সদস্যসচিব রেজাউল বারী এবং প্রবাসী আবৃত্তিশিল্পী, নাট্যকর্মী, সাংস্কৃতিক সংগঠক, নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা পত্রিকাগুলোর সাংবাদিকরাও ফুল দিয়ে কাজী আরিফের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn