‘কিছুই বলতে পারছে না হুম্মাম’
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী সাত মাস পর বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু তাকে কারা, কোথায় ধরে নিয়ে রেখেছিল, কেন রেখেছিল, এসব কিছুই বলতে পারছে না বলে জানিয়েছেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছোট ভাই গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী।শুক্রবার দুপুরে গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘বুধবার রাতে হুম্মাম বাড়ি ফিরে এসেছে। ওকে ধানমণ্ডি এলাকায় কে বা কারা ফেলে রেখে যায়। পরে অনেক কষ্টে সে বাসায় এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হুম্মামের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা খুব ভালো নেই। তাকে তার মা কোথাও বের হতে দিচ্ছেন না। কারো সঙ্গে কথা বলতেও মানা করেছেন।’
হুম্মাম এতদিন কোথায় ছিলেন জানতে চাইলে গিয়াস কাদের বলেন, ‘এটা ও বলেনি। এসব বিষয়ে ওর কিছুই জানা নেই। কারা ওকে ধরেছে, কোথায় রেখেছিল, কেন রেখেছিল, এসব নিয়ে হুম্মাম কিছুই বলতে পারছে না।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে হুম্মামের বাবা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর ফাঁসির আদেশ দেন, ওইদিন সকালেই তার পরিবারের পক্ষ থেকে ও তার আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা রায়ের খসড়া কপি সাংবাদিকদের দেখান। পরে রায় ফাঁসের অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে সালাউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী, তাদের ছেলে হুম্মাম ও আইনজীবী ফখরুল ইসলামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। গতবছরের ৪ অগাস্ট ওই মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণার দিন পুরান ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে হুম্মামকে ডিবি পরিচয়ে ধরে নেওয়া হয়েছে বলে পরিবার ও আইনজীবীরা অভিযোগ করেন।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে হুম্মামের বাবা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় গত বছরের ২২ নভেম্বর রাতে