হবিগঞ্জে ছাত্রীকে ইভটিজিং॥ দোকানপাট-বাড়িঘর ভাংচুর আহত ১০
হবিগঞ্জ শহরে বিকেজিসি স্কুল ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ে বাধা দেওয়ায় কারণে বখাটেদের হামলায় ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই স্কুল ছাত্রীর চাচা মাহবুবুল আলম মান্না (৪০) কে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এছাড়াও অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসাদেওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ শহরের বিকেজিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী শহরের গণ স্বাস্থ্য হোমিও কমপ্লেক্সের ডাঃ সরোয়ার আলমের কন্যা মুনা আক্তার (১৪) প্রতিদিনের ন্যায় প্রাইভেট শেষে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে সে পিটিআই স্কুলের সামনে পৌছলে শহরের বানিজ্যিক এলাকার আমিনুল ইসলামের বখাটে পুত্র শুভ ও তার বন্ধু সাব্বির, সাকিব মুনাকে ইভটিজিং করে এবং এক পর্যায়ে টানা হেচড়া শুরু করে। এসময় তার শোর-চিৎকারে স্কুল ছাত্রীর পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। পরে মুনার চাচা মাহবুবুল আলম মান্না বানিজ্যিক এলাকার আমিনুল ইসলামের বাসায় গিয়ে তার ছেলে শুভর কর্মকান্ডের বিচার দিয়ে ফেরার পথে বখাটে ও তাদের সহযোগীরা মান্নাকে কুপিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে। এসময় তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। পরে বখাটেদের লোকজন ঝড়ো হয়ে স্কুল ছাত্রীর পিতা ডাঃ সরোয়ারের শ্মশানঘাটস্থ গণ স্বাস্থ্য হোমিও কমপ্লেক্স ও পিটিআই রোডস্থ বাসা বাড়িতে হামলা ভাংচুরের তান্ডব চালায়। এতে পুরো এলাকায় সাধারণ মানুষদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই দৌস মোহাম্মদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক জানান, শুনেছি ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সুত্র:হবিগঞ্জসমাচার