জামালগঞ্জে শীতলক্ষ্যা ফ্লোটিং পাম্প স্থাপন বন্ধে’র দাবী
জামালগঞ্জে ব্যক্তি মালিকানাধিন পূর্বে অপসারিত বুড়িগঙ্গা বতর্মানে শীতলক্ষ্যা ফ্লোটিং পাম্প পুনঃস্থাপন প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেছে সাচনা বাজার জ্বালানী তেল পরিবেশক সমিতি। সাচনা বাজার জ্বালানী তেল পরিবেশক সমিতির সভাপতি মো. আজিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী স্বাক্ষরিত আবেদনে উল্লেখ করেন- জামালগঞ্জ উপজেলায় ব্যক্তি মালিকানাধিন পূর্বে অপসারিত বুড়িগঙ্গা ফ্লোটিং পাম্প বতর্মানে শীতলক্ষ্যা ফ্লোটিং পাম্প পুনঃস্থাপন জন্য কে বা কারা প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও সিলেট জেলার কিছু অংশে জ্বালানী তেলের চাহিদা এই বার্জ ডিপোর মাধ্যমে পূরণ করা হয়। হাওরাঞ্চালের ব্যবহৃত মাসিক ১৪-১৫ লক্ষ লিটার ডিজেল/কেরোসিন সরকারি মূল্যে সরবরাহ হয়ে থাকে। ২০০৮ সালে বুড়িগঙ্গা ফ্লোটিং পাম্প ভাসমান বার্জ (ওটি ব্লু স্কাই-২) স্থাপন করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর, এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের আন্দোলনের ফলে ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা সভায় সিদ্ধান্ত মতে সুনামগঞ্জ থেকে সকল প্রকার পেট্রোলিয়াম জাত পণ্যের বিক্রয় বন্ধ করে চলে যায়।
যমুনা ওয়েল কোং লিঃ ৫৫-৬০ ডিলারের মাধ্যমে ১৪-১৫ লক্ষ লিটার তেল সরবরাহ/বিক্রয় করে আসছে। শীতলক্ষার মতো একটি ডিলার দ্বারা সুষ্ঠুভাবে বিক্রয় ও সরবরাহ করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। বতর্মানে শীতলক্ষা নামে বার্জটি স্থাপন করা হলে যমুনা ডিলার ও পরিবেশকদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। তারা শীতলক্ষ্যা ফ্লোটিং পাম্প ভাসমান বার্জ স্থাপনের প্রক্রিয়া বন্ধ করার আবেদন জানান। এ ব্যাপরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রসুন কুমার চক্রবর্তী বলেন- আবেদন পেয়েছি যাদের বিরুদ্ধে আবেদন করেছে তারা জেলা প্রশাসকের নিকট আরেকটি ফ্লোটিং পাম্প স্থাপনের জন্য আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক তদন্ত করার জন্য আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। আমি সহকারি কমিশনার (ভূমি) জামালগঞ্জকে আজকের আবেদনসহ তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।