বিয়ের দাবি নিয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন শারিরিক প্রতিবন্ধী প্রেমিকা। বিয়ের স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত প্রেমিকের বাড়িতেই অবস্থান করবেন বলে দৃঢ় কণ্ঠস্বরে জানিয়েছেন ওই শারিরিক প্রতিবন্ধী নারী। গত বুধবার সকাল থেকে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার শারিরিক প্রতিবন্ধী রোজিনা খাতুন (২৫) বাঘা উপজেলার সরেরহাট গ্রামের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী প্রেমিক সুজন আলীর (২৮) বাড়িতে অনশন শুরু করেন। শারিরিক প্রতিবন্ধী প্রেমিকাকে দেখতে যেখানে ভিড় জমাচ্ছে উৎসুক জনতা। এ বিষয়ে রোজিনা বলেন, প্রতিবন্ধী হওয়ার সুবাদে তারা দু’জনই পুঠিয়া উপজেলার সাধনপুর পঙ্গু শিশু বিদ্যানিকেতনের অবৈতনিক ডিগ্রী কলেজে ২০০৯ সালে এইচএসসিতে ভর্তি হন। সুজন তার এক বছরের সিনিয়র ছিল। সেখান থেকেই তাদের পরিচয় হয়। সেই সূত্রে ভাললাগা থেকে ভালবাসার এক পর্যায়ে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। একই কলেজ থেকে এইচএসসিতে পাশ করার পরে সুজন আলী লেখা-পড়া বাদ দিলেও দাউকান্দি ডিগ্রী কলেজে অনার্সে ভর্তি হন ওই নারী। কিন্তু মোবাইল ফোনে যোগাযোগ ছাড়াও দু’জনই দু’জনের বাড়িতেও যাওয়া আসা ছিল। দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের মাঝে তাদের দৈহিক সম্পর্ক হয়। ঘটনাটি জানাজানির পর সুজনের পরিবার বিয়ে মেনে নিতে না চাইলে আট মাস আগে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরপর থেকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সুজন এড়িয়ে যান বলে জানান রোজিনা।

রোজিনার দাবি, যে পর্যন্ত সুজনের পরিবার তাকে মেনে না নিবে, সে পর্যন্ত রোজিনা এই বাড়িতেই অবস্থান করবে। সুজনের পরিবার থেকে মেনে না নিলে আত্মহত্যা ছাড়া কোন থাকবে না বলেও জানায় সে। এদিকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সুজন আলী দু’জনের সম্পর্কের কথা শিকার করলেও দৈহিক কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে শুধু বন্ধুত্বের সুবাদে যে সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন ততটুকুই ছিল। একই প্রতিষ্ঠানে লেখা-পড়ার সুবাদে কেবল বন্ধুত্ব ছাড়া কিছু ছিলনা। অভিভাবক বিয়ে মেনে না নিলে তার করার কিছুই নেই। বাবা বিয়ে মেনে নিতে রাজি হননি। বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ আলী মাহামুদ বলেন, মৌখিকভাবে ঘটনার জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলের পরিবারকে বোঝানো হয়েছে। মামলার ঝামেলা এড়াতে বিয়ের মতামত দিয়েছে সুজন। এতে তার পিতাও মতামত দিবেন বলে জানান ওসি। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn