উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জাতিসংঘের সহযোগিতা যথেষ্ট নয় : প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান
বৃহ¯পতিবার জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘এজেন্ডা ২০৩০ এর সমন্বিত বাস্তবায়ন : স্বল্পোন্নত ও স্থলবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ, উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র এবং যুদ্ধাবস্থা থেকে উত্তরণশীল দেশসমূহে জাতিসংঘ উন্নয়ন ব্যবস্থার ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনায় সভায় তিনি বরাদ্দ বৃদ্ধির এ দাবি জানান।
চতুর্বার্ষিক সামগ্রিক পলিসি রিভিউ’র (কিউসিপিআর) ওপর জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসক) এ আলোচনায় অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করে আব্দুল মান্নান বলেন, জাতিসংঘের উন্নয়ন সহায়তা ২০১৪ সালের ৫৩% থেকে ২০১৫ সালে ৪৭% নেমে এসেছে।
তিনি স্বল্পোন্নত দেশসমূহের তথ্য, পরিসংখ্যান, নলেজ প্লাটফর্ম ইত্যাদি ক্ষেত্রের পাশাপাশি জাতীয় লক্ষ্য বাস্তবায়নেও জাতিসংঘের সহায়তা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন।
প্রতিমন্ত্রী এ আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন এজেন্ডা ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নে বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি ও এমডিজি বাস্তবায়নে সরকারের সফলতার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি এসডিজিকে বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে এবং এর বাস্তবায়ন কাজ সফলতার সঙ্গে এগিয়ে চলছে বলেও জানান।
প্রয়োজনীয় কৌশলগত পরিকল্পনা ও অপারেশনাল কার্যক্রম গ্রহণ এবং জাতিসংঘের উন্নয়ন ব্যবস্থার কর্মসূচিসমূহের সঠিক সমন্বয়ের মাধ্যমে এলডিসি’র দেশগুলোকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিতে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ আয়োজিত এ সভায় গত বছর সাধারণ পরিষদে গৃহীত কিউসিপিআর রেজুলেশনের বাস্তবায়ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
জাতিসংঘ উন্নয়ন ব্যবস্থা যাতে আরও কার্যকরভাবে এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়ন করতে পারে সে পথ নির্দেশনা প্রদানই এ সভার লক্ষ্য।
স্বল্পোন্নত দেশসমূহের বিশেষ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে ‘কিউসিপিআর রেজুলেশন-২০১৬’ তে জাতিসংঘের উন্নয়ন ব্যবস্থার প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়।
সভায় বাংলাদেশের পাশাপাশি প্যানেলিস্ট হিসেবে আরও অংশগ্রহণ করে তানজানিয়া, মালদ্বীপ ও প্যারাগুয়ে। মতবিনিময়মূলক এ সভায় বিভিন্ন সদস্য দেশ ও উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহ প্যানেলিস্টদের প্রতি প্রশ্ন রাখেন যা আলোচনাকে আরও অর্থবহ করে তোলে।