টঙ্গীতে কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলের পাশে রিকশা গ্যারেজের মালিক মিজানুর রহমান জানান, তমাল দীর্ঘদিন যুবলীগ নেতা আহসান উল্লাহর দোকানে কাজ করতো। দোকানের মালিক কর্মচারীদের ওপর অনেক সময় নির্যাতন চালাতো। ছোট ছোট ছেলেদের মিটিং মিছিলে নিয়ে যেত। আমার মন হয় তার কোন লোকজন ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
আটক আহসান উল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, রাত ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে আমরা যার যার মত চলে যাই। রাত সোয়া ১১টার দিকে আমার এক বন্ধু ফোন করে জানান, তমাল নাসির উদ্দিন মোল্লার ওই ভবনের নিচে পড়ে আছে। খবরটি তার স্বজনদের জানিয়ে দ্রুত আমি ঘটনাস্থলে যাই। এছাড়া আমি আর কিছুই জানি না। নিহত তমাল শেরপুর সদর উপজেলার তিরসা গ্রামের মৃত সোহরাব আলীর ছেলে। সে স্থানীয় বাদশা মিয়ার বাড়িতে মা হুজরা বেগমের সাথে ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। এ ব্যাপারে টঙ্গী থানার এসআই ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, নিহত তমালের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। টঙ্গী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।