আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেড়িয়ে যাবার চুক্তি বা ব্রেক্সিট চুক্তি ব্রিটিশ নিম্ন কক্ষ ‘হাউস অব কমন্স’ এ আবারও হোঁচট খেয়েছে। ব্রেক্সিট প্রশ্নে ইইউ এর সঙ্গে ১৭ অক্টোবর এক খসড়া চুক্তির বিষয়ে ঐক্যমতে পোঁছানোর পর শনিবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এক বিশেষ অধিবেশনে ভোট হবার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয় নি। ফলে ব্রেক্সিট নিয়ে দেখা দিয়েছে নতুন অনিশ্চয়তা। শনিবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অধিবেশন বসার রীতি না থাকলেও ব্রেক্সিটের ভাগ্য নির্ধারণে এক বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। কথা ছিল পার্লামেন্টের সদস্যগণ ব্রেক্সিট ইস্যুতে নিজেদের ভোট দেবেন। কিন্তু ক্ষমতসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা অলিভার লেটইনের আনা এক সংশোধনী প্রস্তাব পার্লামেন্টে পাশ হওয়ায় এমপিরা ভোট দান থেকে নিজেদের বিরত রাখেন। ফলে এর আগে পাশ হওয়া ‘বেন অ্যাক্ট’ ফাঁদে আটকা পড়লো ব্রেক্সিট। বেক্সিট বিরোধীদের পাশ করা এই ‘বেন অ্যাক্ট’ আইনে বলা আছে, ১৯ অক্টোবরের (শনিবার) মধ্যে সরকার ব্রেক্সিট চুক্তি পাশে ব্যর্থ হলে অথবা চুক্তি ছাড়া বিচ্ছেদ কার্যকরে পার্লামেন্টের অনুমোদন না পেলে অবশ্যই ব্রেক্সিটের দিনক্ষণ ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পেছাতে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের কাছে আবেদন করতে হবে।

‘বেন অ্যাক্ট’ অনুযায়ী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে এখন ইইউ এর কাছে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করতে হবে। যদিও জনসন বলেছেন, তিনি ইইউ‘র কাছে সময় বাড়ানোর আবেদন করবনে না। তবে আইন অমান্য না করে নতুন কোন পথ বের করবেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন। অলিভার লেটইনের আনা সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ব্রেক্সিট ভোটাভোটির আগে ইইউ থেকে বেরিয়ে আসতে প্রয়োজনীয় আইন পাশ করতে হবে এবং এ জন্য প্রয়োজনে ব্রেক্সিটের সময় পেছাতে হবে। অধিবেশনে সংশোধনী প্রস্তাবটি ৩২২-৩০৬ ভোটে পাশ হয়। অলিভারের এই প্রস্তাব প্রসঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইইউ থেকে বেরিয়া আসতে প্রয়োজনীয় সকল আইন পাশ করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ভোটাভোটি সম্পন্ন করবেন। উল্লেখ্য, শুরু থেকেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যুক্তরাজ্যকে ইইউ থেকে বের করে আনতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন। তবে শনিবার পার্লামেন্টে এমপিরা ভোট দান থেকে নিজেদের বিরত রাখায় ব্রেক্সিটের জল কোন দিকে গড়ায় তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে আরও এক সপ্তাহ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn