বার্তা ডেস্ক :: করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করায় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য। মহানগর কমিটিতে পদ পেতে অনেকেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি চেয়েছে কেন্দ্র পূর্ণাঙ্গ কমিটিও প্রায় তৈরি। এখন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যাচাই-বাছাই করে কমিটি চূড়ান্ত করবেন। জানা গেছে, নতুন কমিটিতে ত্যাগী ও তরুণ নেতৃত্বকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি এবারের কমিটিতে হাইব্রিড ও অনুপ্রবেশকারীদের কোনো জায়গা থাকছে না। দলীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ১ মার্চ মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন কেন্দ্রীয় নেতারা নতুন কমিটির সভাপতিত্ব হিসেবে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ডাবলু সরকারের নাম ঘোষণা করেন। কেন্দ্রীয় নেতার পরবর্তী এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দিতে বলেন। তবে এরই মধ্যে দেশে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরি করতে পারেনি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
গত ২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় দলের দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সভার সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা অনুযায়ী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে জমা দিতে বলা হয়েছে। নির্দেশনা পেয়ে ইতোমধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরি করেছেন। এখন যাচাইয়ের কাজ চলছে। যাচাই শেষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কমিটির কেন্দ্রে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
জানা গেছে, আগের কমিটির পাঁচজন কাউন্সিলর নতুন কমিটি থেকে বাদ পড়ছেন। তারা হলেন- আবদুল হামিদ সরকার টেকন, সরিফুল ইসলাম বাবু, নিযাম উল আযীম, কামরুজ্জামান কামরু ও রুহুল আমিন টুনু। এ ছাড়া নতুন কমিটিতে জায়াগা পাননি নিষ্ক্রিয় প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন নেতা। পদে থাকলেও তারা জাতীয় ও স্থানীয় কোনো দলীয় কর্মসূচিতে একদিনের জন্যও অংশ নেননি। করোনাকালেও দলীয় প্রধানের নির্দেশে মানুষের পাশে দাঁড়াননি। অন্যদিকে নতুন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক ৬ থেকে ৭ জন নেতা; যারা পদে না থেকেও দলীয় কর্মসূচিতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছেন। তারা ত্যাগী নেতা হিসেবে নেতাকর্মীদের কাছেও পরিচিত। সাবেক কমিটির ৯ জন সহ-সভাপতির মধ্যে ইতোমধ্যে ১ জন মারা গেছেন। এই সব পদে রদবদলের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে তিনজন যুগ্ম-সম্পাদকের মধ্যে একজনকে সহ-সভাপতির শূন্য পদটিতে পদোন্নতি দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে সাবেক কমিটির তিন সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে একজনের বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। সেই ক্ষেত্রে বাদ পড়া সাংগঠনিক সম্পাদককে তার সম্মান রক্ষার্থে কমিটিতে সদস্য রাখা হতে পারে।
জানা গেছে, মহানগর কমিটিতে পদ পেতে নেতাকর্মীদের দৌড়ঝাঁপ চলছে। কেউ ছুটছেন নগর ভবনে নগর কমিটির সভাপতি ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের কাছে। আবার কেউ ছুটছেন সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের কুমার পাড়ার দলীয় অফিসে। সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার সোমবার যুগান্তরকে বলেন, অনেকেই নতুন কমিটিতে পদ পেতে তদবির করছেন। কিন্তু সভানেত্রীর নির্দেশনা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের পরামর্শ অনুযায়ী কোনো হাইব্রিড ও অনুপ্রবেশকারীকে পদে রাখা হবে না। যারা ৫ বছর বা তারও আগে অন্য দল থেকে এসে আওয়ামী লীগে ভিড়েছেন তাদের কারোরই এবার পদ পাওয়ার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন জানিয়েছেন, করোনার কারণে যারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেননি, তাদেরকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিতে বলা হয়েছে। করোনাপরবর্তী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সচলের অংশ হিসেবেই কমিটিগুলো যাচাই-বাছাই শেষে দ্রুত অনুমোদন দেয়া হবে। সৌজন্যে : যুগান্তর
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn