বার্তা ডেক্সঃঃলিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রম (অব.) বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ ও ২৬ মার্চ রাতে একজন তরুণ ক্যাপ্টেন হিসেবে বুকভরা আশা ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য সর্বপ্রথম সশস্ত্র বিদ্রোহ করেছিলাম। ভেবেছিলাম দেশ স্বাধীন হলে আর কোনো দুঃখ-দুর্দশা থাকবে না। কিন্তু আজ তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে নিজের ইজ্জত ও সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকাটাই এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এলডিপির উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা  তিনি বলেন, ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছি। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য খেতাব পেয়েছি। কিন্তু পদে পদে আমাদের অসম্মান করা হচ্ছে। যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি বা মুক্তিযুদ্ধের সময় জন্মগ্রহণ করেনি, তারা আজ মুক্তিযুদ্ধের ওপর আমাদের দেয়া তথ্য-উপাত্তকে ভুল বলে প্রমাণ করতে চায়। এর চেয়ে দুঃখের বিষয় আর কিছুই হতে পারে না। এমন সোনার বাংলার জন্য জাতি মুক্তিযুদ্ধ করেনি।’ তিনি আরো বলেন, দেশ দীর্ঘদিন ধরে একদলীয় শাসনের কবলে পড়েছে। শান্তি নেই, নেই ন্যায়বিচার। সুশাসন নির্বাসিত, গণতন্ত্রকে দাফন করা হয়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। কারও জানমালের নিশ্চয়তা নেই। দেশ এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। পুরো দেশ ও জাতি আজ একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং লোভী রাজনীতিবিদদের হাতে জিম্মি। তারা আমাদের স্বপ্নকে ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছে। দেশকে তছনছ করে দিয়েছে। ঐক্য বিনষ্ট করেছে। সামাজিক মূল্যবোধ ও নীতি-নৈতিকতা বলতে অবশিষ্ট কিছুই নেই।

সমাজ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে মন্তব্য করে কর্নেল অলি আহমদ বলেন, দুর্নীতি ও মাদক সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। মনে রাখবেন, নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত জাতি কখনও তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারে না। সমাজ আজ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। এ অসহনীয় অবস্থা থেকে পরিত্রাণ প্রয়োজন। দেশের মানুষ অনেক রক্ত দিয়েছে, অনেক অবিচার ও অত্যাচার সহ্য করেছে। বর্তমান অবস্থা মানুষের সহ্য ও ধৈর্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। আমি বিশ্বাস করি, দ্রুত একদলীয় শাসনের অবসান হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn