সাইফুল আলম লিমন

চট্টগ্রামে জোড়া খুনের আসামি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক সাইফুল আলম লিমনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) রাত ২টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল চট্টগ্রাম নগরীর মেহেদীবাগের একটি ভবনের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-দক্ষিণ) ডিসি মুহাম্মদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নগর ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যা মামলার আসামি মোক্তারকে আদালতে মারধরের মামলায় লিমনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এছাড়া স্বীকারোক্তিতে সজল দাশ নামে তার এক সহযোগীর কাছ থেকে বিদেশি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায়ও লিমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে ডিবি সূত্রে জানা গেছে।

শুক্রবার সকালে ডিবির উপকমিশনার মুহাম্মদ আলী বলেন, ‘কিছুদিন আগে আদালতে সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলার আসামি মোক্তার হোসেনকে মারধর করার মামলায় লিমনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে রাতে তাকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে শেষ রাতে সহযোগী সজল দাশের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সজল দাশ ও লিমনকে আসামি করে পৃথক মামলা হবে। আগে থেকে করা মারধরের মামলায় লিমনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত ১২ অক্টোবর ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলার আসামি মোক্তার হোসেন আদালতে হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার সময় তার ওপর হামলা করা হয়। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের এজলাসের বাইরে বারান্দায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে বিচারকের এজলাসে আশ্রয় নিয়ে রক্ষা পান মোক্তার। বিচারককে বিষয়টি জানালে তিনি মোক্তারকে কোতোয়ালি থানায় গিয়ে মামলা করার নির্দেশ দেন। পরে ওই মামলায় প্রথমে একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও, মামলার ১৫ আসামির মধ্যে আরও ৮ আসামি বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করে ব্যর্থ হন। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মহিউদ্দিন মুরাদ সবাইকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ ঘটনায় লিমনকে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। এর আগে ২০১৩ সালের ২৪ জুন সিআরবি সাত রাস্তার সামনে যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ও তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে যুবলীগের কর্মী সাজু পালিত (২৮) ও শিশু আরমান (৮) নিহত হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় লিমনকে দ্বিতীয় প্রধান আসামি করে ৬২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। সেসময়ও গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেন লিমন। এরপর ২০১৫ সালের নভেম্বরে অস্ত্র ও গুলিসহ লিমনকে গ্রেপ্তার করেছিল র‍্যাব-৭।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn