বার্তা ডেক্সঃঃসিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ বলেছেন তিনি গ্রুপিংয়ের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। মঙ্গলবার (২৯শে সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে এমসি কলেজ ক্যাম্পাস, কলেজের ছাত্রাবাস ও টিলাগড় কেন্দ্রিক ছাত্রলীগের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। কিছু কিছু সংবাদে অনাকাঙ্খিতভাবে আমার নামও জড়ানো হয়েছে। যা খুবই দু:খজনক। প্রায় ২৬ বছর আগে আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি শেষ করে যুবলীগ করে বর্তমানে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে রাজনীতিতে সক্রিয় আছি। আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন সৈনিক, আমার নেত্রী শেখ হাসিনা এবং আমি তারই রাজনীতি করি। আমার কোন গ্রুপ নেই। আমি গ্রুপিংয়ের রাজনীতিতে বিশ^াসীও নই। এমসি কলেজ, ছাত্রাবাস ও টিলাগড় কেন্দ্রিক ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
স্কুলে পড়ালেখার সময় থেকে আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হই। এরপর জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করে ১৯৯৬ সালে যুবলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হই। জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপালনকালেই ২০০৩ সালে আমি সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক নির্বাচিত হই। গত কমিটিতে আমি শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম। আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে গত ১৭ বছর থেকে আমি রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। তাই গত ২৬ বছর থেকে আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে দূরে। একজন জনপ্রতিনিধি (সিটি করপোরেশনের চারবারের কাউন্সিলর) হিসেবেও আমি দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি।
এমসি কলেজ সংলগ্ন টিলাগড়ে আমার স্থায়ী ও আদি নিবাস হওয়ায় ওই এলাকায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কোন অপকর্ম করলেই রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় করতে মহলবিশেষ আমার নাম জড়ানোর চেষ্টা করেন। আমি কখনো কোন অপরাধে মদদ বা অপরাধীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেইনি। কোন অপরাধীর পক্ষে থানা-পুলিশেও কোনদিন তদবির করিনি। বরং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা নিতে সবসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করেছি। এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে যারা ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। এ ঘটনার পর কারা অপরাধীদের রক্ষার চেষ্টা করেছে, কাদের সাথে অপরাধীদের যোগাযোগ ছিল তা সনাক্ত করলেই অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের নাম বের হয়ে আসবে।আমি দৃঢ়কন্ঠে আবারো বলতে চাই, ছাত্রলীগের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমার নামে কোন গ্রুপ নেই। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি দেখভাল করি না। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ও শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। তাই ছাত্রলীগের ভাল-মন্দ কোন কর্মকান্ডের সাথে আমার নাম না জড়ানোর জন্য সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ করছি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn