ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ জনে। এর মধ্যে কক্সবাজারে ৩, রাঙ্গামাটিতে ২ এবং ভোলার মনপুরায় ১ জন মারা গেছেন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া, ঝড়ে উপকূলের বহু বাড়িঘর ও গাছপালার ক্ষতি হয়েছে। শুধু কক্সবাজারে ২০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কবলিত বিস্তীর্ণ এলাকায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জরুরী ত্রাণ নিয়ে নৌবাহিনীর ২টি জাহাজ সেন্টমার্টিন ও কুতুবদিয়ার পথে যাচ্ছে। ত্রাণবাহী জাহাজ দু’টির নাম সমুদ্র অভিযান ও খাদেম। ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে ভিয়েনা থেকে ঢাকার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এর ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী জরুরী ত্রাণ নিয়ে ঘূর্ণিঝড় মোরা কবলিত এলাকা সেন্টমার্টিন এবং কুতুবদিয়ার উদ্দেশে জাহাজ পাঠানোর নির্দেশ দেন। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমেই দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মংলা সমুদ্রবন্দরে মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn