তাহিরপুর :: সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে আসা শিক্ষিকা ও সুনামগঞ্জ ১ আসনের এমপি রতনের দ্বিতীয় স্ত্রী তানভী ঝুমুর গত ১০ মাস স্কুলে অনুপস্থিত থাকায় তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।  গত বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা কার্য্যালয় থেকে তাকে এ বরখাস্ত করা হয়।  অপরদিকে একই দিনে তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের গোলকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে গত ৫ বছর আগে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ষোলগড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিপোটশনে আসা শাহিমা খাতুন নামে অপর এক শিক্ষিকাও কে ডেপুটেশন প্রত্যাহার করে গোলকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করার জন্য বলা হয়েছে।  ডেপুটেশন প্রত্যাহার করে শিক্ষিকা শাহিমা খাতুন কে গোলকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের জন্য বলা হলেও তিনি এখন পর্যন্ত গোলকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেননি বলে জানা গেছে। ডেপুটেশনে থাকা শিক্ষিকা সাময়িক বহিষ্কার ও প্রত্যাহার হওয়া শিক্ষিকার বিষয়টি নিশ্চিত করে তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.আকিকুর রেজা খান বলেছেন, শিক্ষিকা তানভী ঝুমুর কে ৮.১.১৯ইং তারিখ থেকে সাময়িক বহিষ্কার দেখানো হয়েছে এবং শিক্ষিকা শাহিমা খাতুনের ডেপুটেশন প্রত্যাহার করে গোলকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করার জন্য বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের দ্বিতীয় স্ত্রী তানভী ঝুমুর তাহিরপুর উপজেলা থেকে ডেপুটেশনে এসে বর্তমানে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা তিনি। কিন্তু গত ১০ মাস ধরে স্কুলে আসেনি তিনি।  এক দিনের ছুটি নিয়ে স্কুল ছেড়ে দীর্ঘ সময় ধরে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। তবে স্কুলে না এলেও বেতন ঠিকই তুলে নিচ্ছেন তানভী। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসের নজরে আসলে তানভী ঝুমুর কে ৮.১. ১৯ইং তারিখ থেকে সাময়িক বরখাস্থ্য দেখানো হয়। সূত্রে জানা যায়, তানভী ঝুমুর শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ পান তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের তরং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রাথমিক শিক্ষা দফতরে তদবির করে তিনি ডেপুটেশনে আসেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে একদিনের ছুটি নেন তিনি। কিন্তু এরপর থেকে আর স্কুলে আসেননি। তানভী ঝুমুর তাহিপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের মৃত আবুল কাশেমের মেয়ে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn