আবু সাঈদ হত্যাকান্ড-৩২জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের

ছাতকে ভূমি নিয়ে দু’গ্রামবাসির সংঘর্ষে হাফেজ আবু সাইদ নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার নিহতের পিতা আব্দুল কাহার বাদি হয়ে থানায় মামলা (নং ২৪,াং ২০.০৫.২০১৭ইং) দায়ের করেন। এতে কবি আব্দুল ওয়াহিদকে প্রধান আসামি করে ৩২জনের নামে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরো ১০/১২জনকে। গত ১৮মে’ সকালে উপজেলার জাউয়াবাজারে হাবিদপুর গ্রামের আব্দুল কাহারও জাউয়া কুনাপাড়ার কবি আব্দুল ওয়াহিদ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে হাফেজ আবু সাঈদ নিহত হন। এরপর বিনন্দপুর গ্রামের গ্রামের ফুরকান আলী নামের অপর ব্যক্তি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। এদের দাফন-কাপন শেষে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। ঘটনার পর পরই জড়িত সন্দেহে ৭জনকে আটক করা হলেও এজাহারে ৩জনের নাম রয়েছে। এব্যাপারে মাসলার তদন্ত অফিসার এসআই জহিরুল ইসলাম আসামি গ্রেফতারে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে জানান।

প্রবাসীর অনুদানে স্কুল ড্রেস বিতরন

ছাতকে গরীব ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে স্কুল ড্রেস ও কৃতি শিক্ষার্থীর মধ্যে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়েছে। শনিবার (২০মে’) বিকেলে উপজেলার দোলারবাজার ইউপির বারগোপী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসি আমির আলীর অর্থায়নে এসব সামগ্রী বিতরন করা হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শিক্ষানুরাগি নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জন সরকারের পরিচালনায় অনুষ্টিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগি আমির আলী। বক্তব্য রাখেন, শিক্ষানুরাগি হাজি মোবারক আলী, হাজি আশিক মিয়া, খোয়াজ আলী, সাবেক মেম্বার গিয়াস উদ্দিন, আবদুল হাদিস, ইউপি সদস্য আরিফ আহমদ জমির, দোলারবাজার দাখিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মছলু মিয়া, বারগোপী বিদ্যালয়ের শিক্ষানুরাগি সদস্য নজরুল ইসলাম, নুরুল আলম, স্বপ্না বণিক, আজিজুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, আব্দুল হক, মহিম উদ্দিন,  শামীমা আক্তার পপি, বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা রিনু চৌধুরী, হালিমা আক্তার, মাহবুবা আক্তার, নিপা কির্ত্তনিয়া। এছাড়াও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। স্কুল ড্রেস হাতে পেয়ে গরীব ছাত্রছাত্রীরা আনন্দ-মউল্লাসে মেতে উঠেছেন।

ফোরষ্ট্রোকসহ ৩শ’ বোতল মদ উদ্ধার

ছাতকে একটি সিএনজি ফোরষ্ট্রোকসহ ৩শ’ ১৯বোতল ভারতীয় অফিসার্স চয়েস মদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০মে’) রাত ৯টায় উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়। এসময় চালকসহ ৩মাদক ব্যবসায়ি পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ছাতক থানার এএসআই নাজমুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রায় দু’ঘন্টাব্যাপী বিভিন্ন গাড়ি তল্লাসির একপর্যায়ে কাপড় দিয়ে ঢাকা সেজুতি পরিবহন নামের একটি সিএনজি ফোরষ্ট্রোক (সিলেট থ-১১- ৭৪০৫)কে আটকনার পর পালিয়ে যাবার অপচেষ্টা চালায়। এসময় পুলিশ গাড়ির একটি রডে ঝাপটে ধরলে গাড়ির মালিক ও চালক সুজিত দাস তাকে টেনে হেঁচড়ে অনেক দূর নিয়ে যায়। পর চোর চোর বলে চিৎকার করলে জনতার সহায়তায় মদসহ গাড়ি আটক করলেও পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যায় চালকসহ অপর দু’মাদক ব্যবসায়ি। এব্যাপারে ছাতক থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। এ সাহসিকতার জন্যে উপস্থিত লোকজনের ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন এএসআই নাজমুল ইসলাম।

 

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn