ছাতকে ধর্ষণ মামলা আপোষ না করায় একঘরে ৪৫ পরিবার
ছাতকে নারী নির্যাতন মামলা আপোষ না করায় বাদিসহ তার স্বগোত্রিয় ৪৫ পরিবারকে একঘরে করে রেখেছে গ্রামবাসী। মঙ্গলবার ছাতক প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মামলার বাদী জাহাঙ্গির আলম।বাদির পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, তার স্ত্রী নির্যাতিতা হাবিবা বেগম। এসময় উপস্থিত ছিলেন, হাইলকেয়ারী গ্রামের হাজি আফতাব আলী (কালা হাজি), আজমল হোসেন, আব্দুস সালাম, ফয়ছল আহমদ প্রমুখ। লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউপির হাইলকেয়ারি গ্রামের জাহাঙ্গির আলম স্থানীয় জালালপুর পয়েন্টে চায়ের দোকানের অর্জিত আয়ে পরিবার নির্বাহ করে আসছেন। গত ২০ জুন রাত সোয়া ৯টায় সে দোকানে থাকায় একই গ্রামের আছমত আলীর পুত্র রুবেল মিয়া (২৭) ও নূরুল ইসলামের পুত্র আখতার মিয়া (২৪) বসত ঘরে প্রবেশ করে তার স্ত্রী হাবিবা বেগম (২১) কে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বাড়িতে পুরুষ লোক না থাকায় হাবিবার গলা থেকে ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়া হয়। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) ৯ এর (৪) (খ) তৎসহ ৩৭৯/৫০৬ দন্ডবিধি আইনে ছাতক থানায় একটি মামলা (নং ২৬, তাং ২১.০৬.২০১৭ইং) দায়ের করেন। এর পর থেকে প্রভাবশালী আসামিরা বাদীকে মামলা তুলে নেয়ার অব্যাহত হুমকি দিতে থাকে। মামলা প্রত্যাহার না করায় অবশেষে গ্রামবাসি সোমবার হাইলকেয়ারি গ্রামের হাজি আরশ আলীর বাড়িতে আবাব মিয়ার সভাপতিত্বে এক সভার আয়োজন করে বাদিসহ তাদের স্ব-গোত্রিয় ৪৫ পরিবারকে এক ঘরে করা হয়। এখন বাদিসহ এসব পরিবার গ্রামের রাস্তা-ঘাটে যাতায়াত করতে পারছেনা। মামলা প্রত্যাহার না করলে প্রকাশ্য হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। এ ব্যাপারে তারা প্রশাসনের উধ্র্বতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।