মাহবুব-আলম-

 ছাতক উপজেলায় যেন নিয়মিত বিরতিতে মোটরসাইকেল চুরির হিড়িক পড়েছে। দিনে দুপুরে হরহামেশেই চুরি হয়ে যাচ্ছে মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেল চুরির থানায় ভুক্তভোগিরা জিডি বা মামলা করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত চুরি যাওয়া কোনো মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকেই মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেট এই কাজগুলো করছে। যার কারণে সহজেই মোটরসাইকেল চোরদের ধরা সম্ভব হচ্ছে না।

সূত্রে জানা যায়, গতকাল  সিলেট-সুনামগঞ্জ অাঞ্চলিক মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ থেকে ১টি পালসার ১৫০সিসি ব্লু রংয়ের মটর সাইকেল চুরি হয়েছে। ৫জুন সোমবার বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ নতুন বাজার সংলগ্ন হাজি বাড়ী মার্কেটের সম্মুখ থেকে মটর সাইকেলটি চুরি হয়। যার রেজিষ্টেশন নং সিলেট-ল ১১-৯৯৩১। ভুক্তভোগী , উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাওঁ ইউনিয়নের তকিপুর গ্রামের অাব্দুন নুরের পুত্র লিটন মিয়া জানান প্রতিদিনের মতো মাছ ক্রয় করতে নতুন বাজার যান। মাছ বাজারের বিপরিতে হাজী বাড়ী মাকেটের সামনে (সিলেট-সুনামগঞ্জ) সড়কের পাশে উনার পালসার মটর সাইকেলটি রাখেন। মাছ ক্রয় শেষে এসে দেখেন মটর সাইকেল নেই। সম্ভাব্য স্থানে খোজা-খোজি চলছে বলে জানা গেছে। এদিকে গত কয়েকদিনে গোবিন্দগঞ্জ কেন্দ্রীয় মসজিদের সামন থেকে ফ্যাশন প্লাস, অাওলাদ অালী রেজার মসজিদের সামন থেকে ডিসকভার, ব্রাক অাফিসের পাসের বাসার সামন থেকে হিরো স্পেলেন্ডার, পয়েন্ট সংলগ্ন অাব্দুল অাজিজ বাসার সামন থেকে পালসার মোটর সাইকেলসহ ৯-১০টি মোটর সাইকেল চুরি হয়েছে। চুরি হওয়া কোন মটর সাইকেল এ পর্যন্ত উদ্ধার হয় নাই। এদিকে গতকাল চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলে মালিক ছাতক থানায় একটি সাদারন ডায়েরি করেছেন যার নং ২৪২। এব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জের হাজী আয়বর আলী মার্কেটের স্বত্বাধিকারী আবু জাহিদ মোঃ আব্দুল গফফার জানান  জানান গত কয়েকমাস আগে ছাতক থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ আশেক সুজা মামুনের নেতৃত্বে এলাকার মোটরসাইকেল চুর চক্রের  কয়েকজন সদস্য গ্রেপ্তার হওয়ায় কয়েকদিন চুরি কম হলেও ইদানিং আবারো মাথাঝাড়া দিয়ে উঠেছে মোটরসাইকেল চোর চক্র এব্যাপারে তিনি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn