জগন্নাথপুর ::  জগন্নাথপুর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে গত ২৭ এপ্রিল দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার ঘটনায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এখনও গ্রেফতার হয়নি। উদ্ধার করা হয়নি তাদের ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্রও। উল্টো বাদী সাহেল আহমদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে আসামীরা।   মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে আসামীদের গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়,  ২৭ এপ্রিল দুপুরে সাহেল আহমদ নিজ জমির ধান কেটে নিয়ে আসার পথে সফিক মিয়ার বাড়ির সামনে নিজস্ব জায়গায় ধান মাড়াই দিতে গেলে সফিক মিয়া এতে বাঁধা প্রদান করেন এবং গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ রয়েছে সফিক মিয়ার পক্ষের লোকজন বন্দুকের গুলি ছুড়লে তিন জন গুলিবিদ্ধ হন এবং উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে সাহেল আহমদের পক্ষে রায়হান মিয়া(৩৫), বাবর মিয়া(২৬) ও রানা মিয়া(৩২) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এবং সফিক মিয়ার পক্ষে সফিক মিয়া(৪৫) ও জাহাঙ্গীর মিয়া(২৪) লাঠির আঘাতে আহত অবস্থায় সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্য আহতদের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। 
খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার এসআই আতিকুর রহমান সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে সাহেল আহমদ বাদী হয়ে ২৯ এপ্রিল জগন্নাথপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে সফিক মিয়ার পক্ষের লোক একটি অনলাইন পত্রিকায় মামলার বাদী সাহেল আহমদ ও তার পরিবারকে মামলাবাজ ও সংঘর্ষের সময় প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে পালিয়ে গেছেন বলে যে অভিযোগ করছেন তা সত্য নয় বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। মামলার বাদী সাহেল আহমদ বলেন, সফিক মিয়া গংরা একটি অনলাইন পত্রিকায় বলেছে আমি নাকি প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে পালিয়েছি ও আমরা মামলাবাজ এবং যেখানে ধান মাড়াই দিয়েছি সেই জায়গার কাগজ নেই। এদের সমস্ত অভিযোগই মিথ্যা ও বানোয়াট। তাদের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাওয়ার প্রশ্নই উঠেনা। ওদের ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার মতো লোক আমি নই। তাদের বন্দুকের গুলির মুখেও আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি। আর জানমাল ইজ্জতের মালিক একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। তিনি আরও বলেন, সফিক মিয়ার লোকজন দুর্ধর্ষ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলা রয়েছে। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অবিলম্বে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও তাদের ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জোর দাবী জানান। এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) মাহমুদুল হাসান চৌধুরী’র সাথে আলাপ হলে তিনি জানান, ইতিমধ্যে ঐ মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারে জোর প্রচেষ্টা চলছে। জগন্নাথপুর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী’র সাথে আলাপ হলে তিনি জানান, মামলা রেকর্ডের পর প্রধান আসামী আজিজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn