জগন্নাথপুরে এক মসজিদের মোয়াজ্জিনের উস্কানিতে দ্ইু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১ জন নিহত ও কমপক্ষে ১০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আহত মাহমুদ আলী বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরো ১৮-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরর পর মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার এসআই অভিজিৎ সিংহ এর নেতেতেৃ পুলিশ দল উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের পাটকুরা গ্রামের অভিযান চালিয়ে বুধবার মামলার আসামি তৌরিছ মিয়া ও সন্দেহভাজন আসামি কাওছার মিয়াকে গ্রেফতার করেন। পরে গ্রেফতারকৃত আসামিদের সুনামগঞ্জ জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানাগেছে, মঙ্গলবার বিকেলে জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের ছোট শেওরা গ্রামে সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের রামদার আঘাতে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ছোট শেওরা গ্রামের মৃত মমশ্বর আলীর ছেলে হতভাগ্য জমশেদ আলীর (৬৫) ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। আহত হন আরো ১০ জন। পাার্শ্ববর্তী পাটকুরা গ্রামের জামে মসজিদ থেকে প্রতিদিন রাত ১ টার দিকে মাইক দিয়ে গজল বাজিয়ে লোকজনকে ডাকা হয়। যদিও রাত ২ টার পর থেকে ডাকার কথা। এ নিয়ে ছোট শেওরা গ্রামের প্রবীণ আলেম মাওলানা ছমির উদ্দিন পাটকুরা মসজিদের মোয়াজ্জিনকে বলেছিলেন রাত ২ টার পর থেকে যেন ডাকা হয়। এ কথাটি মোয়াজ্জিন মসজিদ কমিটির কাছে বাড়িয়ে বলায়, তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এরই জের ধরে মঙ্গলবার বিকেলে পাটকুরা গ্রামের শায়েস্তা মিয়া, টিটু মিয়া, লুৎফুর রহমান, তৌরিছ মিয়া, আকিক মিয়া, হেলাল মিয়া, বিলাল মিয়া, লিটন মিয়া ও সুলেমান মিয়াসহ একদল লোক উত্তেজিত হয়ে ছোট শেওরা গ্রামের ছাদিক মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে মারপিট করতে থাকেন। তাকে বাঁচাতে গ্রামের অন্যান্য লোকজন এগিয়ে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনায় ছাদিক পক্ষের ১ জন নিহতসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। এ ঘটনায় থানা পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn