বার্তা ডেক্সঃঃ গণফোরামের বর্তমান সভাপতি ড. কামাল হোসেন কাউন্সিলে উপস্থিত না হলে নতুন সভাপতি নির্বাচন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির বিদ্রোহী অংশের নেতা সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু। শনিবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর আরামবাগের ইডেন কমপ্লেক্সে কাউন্সিলের প্রস্তুতি সভা শেষে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। বর্ধিত সভায় গণফোরামের সাবেক নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিউদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফুল বারী হামীম, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় মন্টু বলেন, ড. কামাল আগামী ২৬ ডিসেম্বরের কাউন্সিলে যোগ না দিলে নতুন সভাপতি নির্বাচিত করবেন সারাদেশের কাউন্সিলররা। তিনি জানান, কাউন্সিলের প্রস্তুতি হিসেবে ১৪টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সারাদেশ সফর করে কাউন্সিলের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। এ সময় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান গণফোরামের বিদ্রোহী অংশের এই নেতা। একই সঙ্গে সারাদেশে ‘ধর্ষণের মহামারীর’ প্রতিবাদে আগামী ১৭ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

মোস্তফা মহসীন বলেন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া দলের ক্ষমতায় ছিলেন। এই দুই বছরে গণফোরামের কী উন্নতি সাধন হয়েছে? গণফোরাম ১৪ দলের সঙ্গে আন্দোলনে ছিল। এরপর ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বড় আন্দোলনে ছিল, বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে ছিল। কিন্তু দুই বছরে তিনি নেতৃত্বে গণফোরামকে মাঠে দেখা যায়নি। জনগণের পাশে দেখা যায়নি। গণফোরাম সবসময় যে কোনও দুর্যোগে মানুষের পাশে থেকেছে, কিন্তু কিবরিয়া তো থাকে নাই। তারা মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। তিনি বলেন, গণফোরামের শুরু ১৯৯৩ সালের ২৯ আগস্ট প্রায় পাঁচ হাজার কাউন্সিলরদের নিয়ে। তাদের মতামতের ভিত্তিতে গণফোরাম গঠিত হয়। তাই কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতেই গণফোরামের নতুন নেতৃত্ব হবে। তিনি আরো বলেন, ড. কামাল হোসেন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তিনি আমাদের শীর্ষনেতা। তবে সংগঠন যে উদ্দেশ্য, আদর্শ নিয়ে তৈরি হয়েছিল, সেজন্য তার কাছে আমরা নিরপেক্ষ থাকার দাবি করি। যারা মাঠে আছে, মাঠের কর্মী, জনগণের কাছাকাছি তাদের নিয়ে তিনি কাজ করবেন আশাকরি।

মন্টু বলেন, গণতন্ত্রের চর্চা প্রথমে সংগঠন থেকে করতে হবে। কাউন্সিলর, জেলা প্রতিনিধি, মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা গণফোরামের নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। কোনো ঘরে, চেম্বারে বা গুলশানের কোনো বাসায় বসে নেতা নির্বাচন হবে না। এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামের বর্ধিত সভা থেকে কাউন্সিলের ঘোষণা দেয়া হয়। তার আগে গত ৪ মার্চ গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেন দলটির সভাপতি ড. কামাল হোসেন। একইসঙ্গে পরবর্তী কাউন্সিল না হওয়া পর্যন্ত দুই সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি হিসেবে থাকছেন কামাল হোসেন নিজেই এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয় বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়াকে।-পূর্বপশ্চিমবিডি

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn