লন্ডন সফররত তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি এবং তাদের রাজনীতি ধ্বংসের জন্য আওয়ামী লীগকে কিছু করতে হচ্ছে না। বরং আদালতে সাজাপ্রাপ্ত, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত ও লন্ডনে বসবাসরত অপরাধী তারেক রহমানই বিএনপিকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন।’ বুধবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত লন্ডনের এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘বিগত সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েও বিএনপি মূলত নির্বাচন করেনি। তার কারণ হলো, আওয়ামী লীগের উন্নয়ন, সুশাসন, অর্থনৈতিক বিপ্লব, গরিব জনগণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন। তারেক রহমান লন্ডনে বসে স্কাইপের মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতি করেন, বক্তব্য দেন, যা বাংলাদেশের মহামান্য আদালত দেশে প্রচার নিষিদ্ধ করেছেন।’ ‘অবৈধভাবে হাজার হাজার কোটি টাকার মনোনয়ন বাণিজ্য করা যার মতলব, সে কী করে দলকে ক্ষমতায় আনবে, প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘স্মার্ট কার্ড ও সব নাগরিক সেবা যেভাবে, যে পদ্ধতিতে দিলে জনগণ এবং সবার কাছে পৌঁছায়, আওয়ামী লীগ সরকার সেভাবেই কাজ করছে।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করবে বলে আশা করি।’

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক নঈমুদ্দিন রিয়াজ, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা হরমুজ আলী, আবদুল আহাদ চৌধুরী, মহিলা যুবলীগ নেত্রী সাজিয়া সুলতানা স্নিগ্ধা প্রমুখ। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইউরোপে এক সপ্তাহের সরকারি সফরে মন্ত্রী মঙ্গলবার লন্ডন পৌঁছান। সেখানে তিনি যুক্তরাজ্যের সিভিল সার্ভিস কলেজ ও বিবিসি’র সদর দফতর পরিদর্শন করেন। তিনি বিবিসি বাংলায় একটি সাক্ষাৎকারও দেন। বৃহস্পতিবার তিনি যুক্তরাজ্যের চেয়ারম্যান অব পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিজিটাল, কালচারাল, মিডিয়া অ্যান্ড স্পোর্টস ডেমিয়েন কলিন্সের সঙ্গে বৈঠকে দু’দেশের তথ্য, গণমাধ্যম, সংস্কৃতি ও ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ক সহায়তা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন। আগামী ৯ জুলাই তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn