জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া-

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিন বড়দল ইউনিয়ের ভান্ডারখাল নদীতে ব্রীজের অভাবে দুটি ইউনিয়নের ৫টি গ্রামের সাধারন মানুষের চরম দূর্ভোগের শিকার। ঐ এলাকার স্কুল,কলেজের পড়–য়া শিক্ষার্থী,ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজন প্রতিদিন নড়বড়ে লম্বা বাঁশের চাঁটাই বিছানো সাঁেকা দিয়ে পাড়াপার হতে হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। এ উপজেলার তাহিরপুর সদর ও দক্ষিন বড়দল দুটি ইউনিয়নের মধ্যে এ নদীটি। আর নদীর উপর একটি ব্রীজ না হওয়ায় এ দুটি ইউনিয়নে ও উপজেলা সদরের সাথে সংযোগ স্থাপনও হচ্ছে না। উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারন এ নদীতে সেতু নির্মানের জন্য র্দীঘ দিন ধরে দাবী জানিয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। জানাযায়,উপজেলা দক্ষিন বড়দল ইউনিয়ের রসূলপুর,টুকেরগাঁও,খাসপাড়া,গোবিন্দপুর গ্রামের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন তাহিরপুর উপজেলা সদরে,মাদ্রাসা,মাধ্যমিক স্কুল,কলেজ,প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া ও তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের টাকাটুকিয়া গ্রামের লোকজন আতœীয়তার সর্ম্পক ও ঐগ্রাম গুলোর পাশে নিজেদের ফসলী জমি থাকায় প্রতিদিনেই যাতায়ত করতে হয়। যাতায়াতের সুবিধার জন্য স্থানীয় লোকজন প্রথমে সর্ব সম্মিলিত ভাবে ছোট নৌকা দিয়ে পারাপার হত। এতে করে নৌ দূর্ঘটনা আশংকায় তারা এর পরিবর্তিতে গত ৫বছর ধরে সবার সুবিধার কথা চিন্তা করে চাঁদা তুলে বাঁশের চাটাঁই বিছায়ে দিয়ে নম্বা সাকোঁর ব্যবস্থা করে। এতে করে প্রতি বছরেই অর্ধলক্ষাধিক টাকার বেশি খরচ হয়। এই এলাকার বেশির ভাগ লোকজন কৃষক আর প্রতি বছর এত টাকা যোগার করতে গিয়ে হিমসিম খেতে হয় তাদের। ৫টি গ্রামের লোকজনের চলাচলের ফলে বাঁশের সাকোঁটি কিছু দিন পর পরেই নড়বড়ে হয়ে যায় মেরামতের প্রয়োজন পরে। মেরামত না করায় ব্রীজটি এখন গলার কাট হয়ে দড়িয়েছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা গঠার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও এখানকার অধিকাংশ কৃষক,সবজি চাষীরা তাদের উৎপাদিত পন্য বেচা কেনার জন্য এই বাঁেশর নড়বড়ে সাকোটি দিয়ে ঠেলাগাড়ি বা অন্য যানবাহন দিয়ে আসা-যাওয়া করতে না পারায় বিকল্প ইঞ্জিন চালিত নৌকায় রির্জাব করে উপজেলা সদরে যাতায়াতের ব্যবস্থা করায় খরচের পরিমান বেড়ে যায়। ফলে কষ্টার্জিত কৃষি জাতপন্য বিক্রি করে লাভের পরিবর্তিতে ক্ষতির শিকার হচ্ছে। রসুলপুর নুরুজ্জামান নূর,টাকাটুকিয়া গ্রামের মনি স্থানীয় বাসীন্দা ও এলাকার কৃষকগন বলেন,এ নদীর উপর একটি ব্রীজ না থাকায় আর নড়বড়ে বাঁশের সাকোঁর কারনে স্কুলে ছেলে-মেয়েদের পাঠিয়ে চিন্তায় থাকি। ব্রীজ নির্মান হলে আমরা উপজেলা সদরে  যোগাযোগ সহ এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারনের চলাচলের পথ সুগম হত ভোগান্তি থেকেও মুক্তি পেতাম। এ পর্যন্ত যারা  এমপি,চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে আমাদের ভোট ছাড়া হয় নাই। আমরাই ভোট দিয়া নির্বাচন করছি। তারা শুধু নিজের স্বার্থ নিয়ে ভাবে আমাদের সুবিধা-অসুবিধার আর স্বার্থের কথা কেউ ভাবে না। এই নদীর উপর ব্রীজ নির্মানের জন্য কারো যেন কোন মাথা ব্যাথ্যাই নেই। আমাদের হয়েছে যত জ্বালা কাউকে কইতেও পারিনা সইতেও পারিনা। বিভিন্ন স্কুল,মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন,এ নদীতে ব্রীজ হলে স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসায় যোগাযোগ করতে আমাদের সহজ হত। এখন বাঁশে সাকোঁ পাড়ি দিতে ভয় লাগে। কখন জানি পরে যাই নদীতেই। তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন,এই নদীর উপর একটি সেতু নির্মানের জন্য আবেদন এক বছর পূর্বেই মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছিল। এখন এই আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় কোন কার্যকর প্রদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না বা কোন প্রর্যায়ে আছে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন-এই নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মান করা হলে এই এলাকার জনসাধারন ভান্ডারখাল নদী পার হয়ে উপজেলা সদরে অন্যান্য ইউনিয়নের সাথে সহজে চলাচলের সুবিধা এবং ঐ এলাকার ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার প্রসার ঘটাতে পারত খুব সহজে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn