তাহিরপুর মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
রাজন চন্দ-
তাহিরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তানভীর আহমেদের বিরুদ্ধে হাওরে পোনা মাছ অবমুক্ত করনের বরাদ্দের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চলতি বছর অকাল বন্যায় বাঁধ ভেঙে হাওরের কাঁচা ধান তলিয়ে যাওয়ার পর ধান পঁচা অ্যামোনিয়া গ্যাস সৃষ্টি হয়ে হাওরে ব্যাপক আকারে মাছের মড়ক দেখা দিয়েছিল। যার ফলে উপজেলার সবগুলো হাওর সহ নদীনালা থেকে সপ্তাহব্যাপী মরা মাছ ভেসে উঠেছিল। হাওরাঞ্চলে মরা মাছের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে জরুরি উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন মৎস্য মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তর। এরই ধারাবাহিকতায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১০ লক্ষ টাকার পোনা মাছ হাওরে অবমুক্ত করার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তাহিরপুর উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানা যায়, কোটেশনের মাধ্যমে মাছের পোনা ক্রয় করে এই উপজেলায় পোনা মাছ অবমুক্ত করার জন্য ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,কোটেশনের মাধ্যমে মাছের পোনা ক্রয় করে পোনা অবমুক্ত করার কথা থাকলেও তাহিরপুর উপজেলায় এ ধরনের কোনো নিয়মনীতি না মেনে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ তার নিজস্ব লোক দিয়ে বরাদ্দের নাম মাত্র একটা অংশের লোকদেখানো পোনা অবমুক্ত করেন।
তাহিরপুর উপজেলা মৎস্যজীবি কমিটির সদস্য সজল বর্মন জানান, ১০ লক্ষ টাকার পোনা মাছ অবমুক্ত করার বরাদ্দ হলেও আমার জানামতে ১ দিন নামে মাত্র পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন,(০১৭২৪৭৯৭৯১১), বর্তমান সরকার হাওরাঞ্চলে মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে পর্যাপ্ত পরিমান টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু তাহিরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তানভীর হাসান সু-কৌশলে তার নিজস্ব লোক দিয়ে লোকদেখনো পোনা অবমুক্ত করে বরাদ্দের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে করে বর্তমান সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাহিরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বলেন,(০১৭১৭১৮০২৭৯), সরকারি বিধিবিধান মেনে পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে বরাদ্দের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগটি মিথ্যা। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, পোনা মাছ অবমুক্ত নিয়ে অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে এ ধরনের কোন লিখিত অভিযোগ আমি পাইনি । অভিযোগ পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহন করব।