নুরুল হক নুর এর ফেসবুক স্ট্যাটস থেকেঃঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ছাত্র রাজনীতি নিয়ে আজ প্রশ্ন উঠেছে, সামগ্রিক রাজনীতি নয় বরং ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ক্যাম্পাসগুলোতে যে দখলদারি, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যে সংঘর্ষ এ কারণে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি বলেন, এসব কারণে আমরা মনে করি যে, তাদের সন্ত্রাস নির্ভর ছাত্ররাজনীতি, দলীয় দাসত্বের দুর্বৃত্তের রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক লাইভে ডাকসু ভিপি এসব কথা বলেন। নুরুল হক নুর বলেন, যিনি রাষ্ট্রের (সরকার) প্রধান একই সময় তিনি দলেরও প্রধান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীই কিন্তু ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ইন্ডিকেট (লক্ষ্য) করে বলেছেন যে, তারা ক্ষমতা পেয়ে মন্সটার (দানব) হয়ে গেছে। সুতরাং আজকে তাদের (ছাত্রলীগের) রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সামগ্রিকভাবে ছাত্ররাজনীতি নয়। ছাত্ররাজনীতি কখনও এদেশে খারাপ কিছু বয়ে আনেনি। বরঞ্চ যারা দলীয় লেজুড়বৃত্তিক দাসত্বের রাজনীতি করেছে, ক্ষমতাসীন দলের লাঠিয়াল হিসেবে কাজ করেছে, তারাই ছাত্ররাজনীতিকে কলুষিত করেছে।

ডাকসু ভিপি বলেন, প্রতিবছর ছাত্রসংসদ নির্বাচন হলে যারা প্রকৃতপক্ষেই ছাত্রনেতা, ছাত্রদের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে কাজ করে, শিক্ষার্থীবান্ধব সেখানে নির্বাচিত হতে হবে। তাহলেই ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে, কার্যকর সমাধান হতে পারে। কিন্তু ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কার্যকর কোনো সমাধান নয়। বাংলাদেশের সংগঠন মেনে, আইন মেনে একটা মানুষ যেকোনে ধরণের রাজনীতি করতে পারে। সংবিধানে প্রত্যেক নাগরিকের বাক স্বাধীনতা রয়েছে, সংগঠন করার অধিকার রয়েছে। ফেসবুক লাইভে নুরুল হক নুর আরও বলেন, ধর্মের নামে যারা সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেয়, মানুষকে উগ্রপন্থার দিকে ধাবিত করে, তাদের রাজনীতি বন্ধ করতে আমাদের কাজ করতে হবে। সরকারের সমালোচনা করে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, সরকার ভারতের সঙ্গে স্বার্থবিরোধী যে চুক্তি করেছে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার সেটি নিয়ে সমালোচনা করেছে। সে যৌক্তিকভাবে সমালোচনা করেছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল চায় ছাত্ররা রাজনীতি নিয়ে কথা না বলুক। রাজনৈতিক দলগুলোর অপকর্ম নিয়ে কথা না বলুক। রাজনৈতিক নেতারা যে ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে যে অঢেল অর্থবৃত্তির মালিক হচ্ছে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে, দেশে আইনের নামে যে অপশাসন কায়েম করছে, গণতন্ত্রের নামে যে ক্ষমতা দখলের স্বৈরতন্ত্র কায়েম করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ছাত্ররা কথা না বলুক। ছাত্ররা কথা বললে অন্যরা প্রভাবিত হবে। যেটা তাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করবে। ছাত্রলীগের রাজনীতি ছাত্ররাজনীতি নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn