চট্টগ্রামে সালমা আক্তার নামে এক শিশু নৃশংসভাবে খুন হওয়ার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। নগরীর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ইমন হাসান (২০) নামে এক খুনীকে গ্রেফতারের পর সে আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে ইমন জানিয়েছেন, শিশুটিকে তারা দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণের পর গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। ইমনের স্বীকারোক্তির পর পুলিশ আরেক খুনী জীবনকে (২০) গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়ালিউদ্দিন আকবর। গত ১৫ জুন ভোরে নগরীর পাঁচলাইশ থানার বাদুরতলায় নঈমিয়া ভবন নামে একটি মার্কেটের তিনতলায় ময়লার স্তূপে কাঠের বাক্সভর্তি সালমার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।   প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করেছিল, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। পরিদর্শক ওয়ালিউদ্দিন আকবর জানিয়েছেন ইমনকে বুধবার রাতে নগরীর বহদ্দারহাট বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।   ধর্ষণের পর হত্যার দায় স্বীকার করে বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরানের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

ইমন নগরীর বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে মাছ কাটার পেশায় জড়িত।   ওই এলাকায় লোহা কলোনিতে তার বাসা।   জীবনের বাসাও লোহা কলোনিতে।   ধর্ষণের ঘটনাস্থল নঈমিয়া ভবনের নিচতলায় জোয়াং করপোরেশন নামে একটি সেনিটারি দোকানের কর্মচারি জীবন। নঈমিয়া ভবনের পাশে শাহ আমানত হাউজিং সোসাইটিতে সালমাদের বাসা।   একই এলাকার হওয়ায় জীবনের সঙ্গে সালমার পরিচয় ছিল।    তবে ইমনের সঙ্গে পরিচয় ছিল না।

১৩ জুন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সালমাকে প্রলোভন দেখিয়ে নঈমিয়া ভবনের তিনতলায় পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে যায় জীবন।   সেখানে আগে থেকে ছিল ইমন।   নির্জন ওই স্থানে প্রথমে জীবন সালমাকে ধর্ষণ করে।   এরপর ইমন তাকে দ্বিতীয় দফা ধর্ষণ করে। ধর্ষকদের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সালমা কাঁদতে কাঁদতে বিষয়টি তার বাবা ও মামাকে জানিয়ে দেবে বলে জীবন ও ইমনকে জানায়।   ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে তারা সালমার মাথার হিজাব গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।   এরপর জীবন ওই ভবনের নিচতলায় দোকানে চলে যায়।   ইমন স্বাভাবিকভাবে বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে চলে যায়।   গভীর রাতে আবারও এসে কার্য়নে লাশ ভরে ময়লার ভেতরে ফেলে যায়। জানা গেছে, স্থানীয় মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সালমা। তার বয়স (৯)

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn