নিহত লিটুর মোবাইল গায়েব কেন’
সুফিয়ান আহমদ-
সিলেটের বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছিলেন ছাত্রলীগকর্মী খালেদ আহমদ লিটু। নিহত হওয়ার পর থেকে খোঁজ মিলছে না লিটুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের। লিটুর বাবা খলিলুর রহমান প্রশ্ন তুলেছেন, ‘তার ছেলের মোবাইল ফোনটি কারা গায়েব করেছে।’ মোবাইল ফোনটি গায়েবের কারণ কি তা জানতে চাইছেন তিনি। খলিলুর রহমানের দাবি, ‘বারবার ফোন দিয়ে আমার ছেলেকে কলেজে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অথচ ঘটনার পর থেকেই আমার ছেলের ফোন গায়েব। কারা নিলো লিটুর ফোন। কেন গায়েব করা হলো তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি।’ তিনি বলেন, ‘পুলিশও বলতে পারছে না লিটুর মোবাইল ফোনটি কার কাছে আছে। লিটুর ফোনের কললিস্ট চেক করলেই বোঝা যাবে কারা তাকে ফোনে ডেকে কলেজে নিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ কললিস্ট চেক করছে না।’
এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঘটনার দিন থেকেই আমরা লিটুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পাচ্ছি না। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে এই ফোনটির প্রয়োজন রয়েছে। তবে লিটুর মোবাইল ফোনের কললিস্ট যাচাই করা হবে জানিয়ে ওসি বলেন, হত্যাকান্ডে গ্রেফতারকৃতদের শিগগিরই রিমান্ডে আনা হবে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের আসল রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করা হবে। আদালত গ্রেফতারকৃতদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বলে জানান ওসি।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই সোমবার দুপুরে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের ১০২ নং শ্রেণী কক্ষের ভিতরে নিজেদের অবস্থানে পাইপগানের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের পাভেল গ্রুপের কর্মী ও পৌর এলাকার খাসা পন্ডিতপাড়ার খলিলুর রহমানের একমাত্র ছেলে খালেদ আহমদ লিটু।
লিটু পেশায় মোবাইল ব্যবসায়ী হলেও সে পাভেল গ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিলো। গ্রুপের সব মিছিল মিটিংয়ে তার সরব উপস্থিতি থাকতো। লিটু নিহতের ঘটনায় পুলিশ ওইদিন তার গ্রুপের ফাহাদ, কামরান, এমদাদ ও মিষ্টুকে আটক করে। আটককৃতদের লিটুর বাবার দায়েরকৃত হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করলেও এঘটনার রহস্য এখন উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি এঘটনায় ব্যবহৃত পাইপগানটি উদ্ধার করে পারেনি তারা।