বার্তা  ডেস্ক:  নেত্রকোনার কমলাকান্দা উপজেলার গুমাই নদীতে ট্রলার দুর্ঘটনায় সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও মধ্যেনগর থানার নিহত ৯জনের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ নিহতদের স্বজনদের কাছে এ সহায়তার টাকা হস্তান্তর করেন। নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা নগদ সহায়তা দেয়ার জন্য তাৎক্ষণিক ভাবে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জানা যায়, বুধবার সুনামগঞ্জের মধ্যনগর থেকে নেত্রকোনা সদরের ঠাকুরাকোণা ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসার পর সকাল এগারোটার দিকে কলমাকান্দা উপজেলার বড়কাপন ইউনিয়নের রাজনগর এলাকার গুমাই নদীতে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালুবাহী ট্রলারের ধাক্কায় ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা এসে দশ জনের লাশ উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া নিহতরা হচ্ছেন, ধর্মপাশা উপজেলার ইনাতনগর গ্রামের ওয়াহাব আলীর স্ত্রী লুৎফুন্নাহার ও আড়াই বছরের ছেলে ইয়াসিন, এই পরিবারের মনিরা (৫) নামের আরও এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। নেত্রকোনা সদরের মেদনী গ্রামের আবুচানের স্ত্রী হামিদা খাতুন (৪৫) ধর্মপাশা উপজেলার ইনাতনগর গ্রামের সাহেব আলীর স্ত্রী মজিদা আক্তার (৫০) মধ্যনগর এলাকার কামারউড়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে অনিক (৭) একই গ্রামের হাবিকুলের স্ত্রী লাকি আক্তার (৩০) ও তার দুই শিশু টুম্পা আক্তার (৫) ও জাহিদ হোসেন (৩) ধর্মপাশা উপজেলার জামালপুর গ্রামের জোবাইর এর ছেলে মোজাহিদ (৪) এবং একই গ্রামের আব্দুল করিমের সুলতানা আক্তার (৪৫)।

এব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, ট্রলার দুর্ঘটনায় নিহত সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার ২ জন ও মধ্যনগর থানার ৭ জন মারা গেছেন। নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নগদ ২০হাজার টাক করো দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে চার পরিবারকে সহায়তা টাকা হাতে তুলে দিয়েছি। অন্য পরিবার গুলোকেও আজকের মধ্যেই নগদ সহায়তার টাকা তুলে দিবও।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn