বার্তা ডেস্ক :: বিতর্কিত নাগারনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সামরিক সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। সোমবারও একে অপরের বড় শহরগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে উভয়পক্ষের বাহিনী। বিরামহীন হামলায় ভীতসন্ত্রস্ত সময় পার করছে উভয় দেশের হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক। রাতে ঘুম নেই, দিন কাটছে আতঙ্কে। লড়াইয়ের মাধ্যমে আর্মেনিয়ার দখল থেকে কারাবাখের প্রায় ২২টি এলাকা মুক্ত করেছে আজারি বাহিনী। খবর আলজাজিরা ও এএফপির। বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিবেশী দুই দেশ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান যুদ্ধ চলছে। আর্মেনিয়ার বাহিনী আজারবাইজানের বসতি ও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করলে দুই দেশ ভয়াবহ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এক সপ্তাহের সংঘাতে এরই মধ্যে দুই দেশের ২৩০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৩০ জন বেসামরিক মানুষ। যদিও হতাহতের এসব তথ্যের ব্যাপারে নিরপেক্ষ সূত্রে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
উভয় দেশই একে অপরের বড় শহরগুলো লক্ষ্য করে হামলা রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, বেসামরিক অঞ্চলে হামলা চালানো হচ্ছে।আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের একজন উপদেষ্টা একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠতে দেখা গেছে। নাগারনো-কারাবাখের বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনী দাবি করছে, তারা গানজা শহরে হামলা চালিয়ে সেখানে বিমান ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে। গানজা হচ্ছে আজারবাইজানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। প্রায় তিন লাখ ৩০ হাজার মানুষ থাকে এই শহরে। আজারবাইজানের বাহিনীও নাগারনো-কারাবাখের রাজধানী স্টেপানাকার্টে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। শহরে কেবল সাইরেন আর গোলা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে থেমে থেমে। স্টেপানাকার্ট বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। অসংখ্য মানুষ বাসে করে শহর ছেড়ে যাচ্ছেন। এই সংঘাত সিয়ে ককেশাস অঞ্চলের সব দেশের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যুদ্ধ শুরু করার জন্য দু’দেশই একে অপরকে অভিযুক্ত করছে। যুদ্ধের মাত্রা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ইরানের সীমান্ত থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। কিছুদিন আগে ইরানের সীমান্তবর্তী পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের খোদা অফারিন এলাকায় মর্টারের গোলা এসে পড়লে ওই এলাকার জনমনে প্রচণ্ড আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। খোদা অফারিন শহরের গভর্নর আলী আমিরি রাদ বার্তা সংস্থা ইসনাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শনিবার যুদ্ধকবলিত এলাকা থেকে ১০টিরও বেশি মর্টার ইরানের ভেতরে আঘাত হেনেছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn