বার্তা ডেস্ক :: বিয়ের দাবিতে এক কলেজছাত্রী তরুণের বাড়িতে অনশন করছেন। আর ওই তরুণ প্রতিবেশীর বাড়িতে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার আনন্দনগর গ্রামে। আত্মহত্যাকারী কলেজছাত্র সোহাগ উপজেলার আনন্দ নগর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ছাত্র ছিলেন। পারিবারিক সূত্র জানা যায়, সোহাগ আহম্মেদের সঙ্গে এক কলেজছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৬ মাস যাবৎ তাদের মধ্যে এ সম্পর্ক চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার সারাদিন দুইজন চলনবিলে নৌকায় ঘুরে বেড়ায়। তাদের বেড়ানোর খবর ওই ছাত্রীর বাবা-মা জানতে পারে। বিকালে বাড়ি ফিরে গেলে তাকে মা-বাবা বকা দেয়। মা-বাবার বকা খেয়ে তিনি সোহাগের বাড়িতে সমস্যার কথা জানান এবং বিয়ে করতে বলেন। ওই সময় সোহাগ বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়। ওই ছাত্রী সোহাগের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করে। গভীর রাতে দুই পরিবার তাদের বিয়ে দিতে একমত হয়। এ সময় সোহাগ ওই মেয়েকে বিয়ে করবে না জানিয়ে প্রতিবেশীর ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ খবর পেয়ে ওই ছাত্রী টয়লেটে গিয়ে দরজা বন্ধ করে হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. মোজাহারুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। উভয়পক্ষের অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। সৌজন্যে : যুগান্তর

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn