আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: ফেসবুকে এক পোস্টের জেরে শ্রীলঙ্কায় বেশ কয়েকটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতিকারীরা। এসময় স্থানীয় এক ব্যক্তিকে মারধরসহ মুসলমানদের দোকানে হামলা চালানো হয়। রোববার (১২ মে) দেশটির পশ্চিম উপকূলীয় চিলোও শহরে এ ঘটনা ঘটে। সপ্তাহ তিনেক আগে শ্রীলঙ্কার চারটি হোটেল ও তিনটি গির্জায় আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে প্রাণ হারান অন্তত ২৫০ জন। এ ঘটনার পর থেকেই দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের মুসলমানরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। এবার ফেসবুকের এক পোস্ট নিয়ে মুসলমান যুবককে মারধরসহ মসজিদে হামলা চালানো হলো। এ ঘটনার পর থেকেই থমথমে রয়েছে চিলোও শহর। শ্রীলঙ্কা পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকারা বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে আগামীকাল ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। পরে জানানো হয়, ভোর ৪টায় কারফিউ তুলে নেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, কথিত ফেসবুক পোস্টে একব্যক্তি সিংহলিজ ভাষায় লিখেছেন, আমাদের কাঁদানো কঠিন। এর সঙ্গে মুসলমানদের বিরুদ্ধে স্থানীয় একটি গালি জুড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ ওই পোস্টদাতাকে গ্রেফতার করেছে। জানা যায়, ৩৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম হামিদ মোহাম্মদ হাসমার। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ইংরেজিতে ওই পোস্টের অর্থ, বেশি হাসলে একদিন কাঁদতে হবে। খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ শহরটিতে তার ওই পোস্ট নিয়ে তুলকালাম শুরু হয়। পরে বিক্ষুব্ধ কয়েকজন হাসমারকে মারধর করেন। স্থানীয় এক মুসলমান নাগরিক বলেন, হামলাকারীরা তিনটি মসজিদে পাথর নিক্ষেপ করে ও মুসলমানদের কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালায়। আমরা সারারাত ভয়ে ছিলাম। এখন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন যুবক চিৎকার করছেন ও একটি কাপড়ের দোকানে ঢিল ছুড়ছেন। স্থানীয়রা জানান, ‘নিউ হাসমারস’ নামের দোকানটির মালিক গ্রেফতার হওয়া হামিদ মোহাম্মদ হাসমার। ইস্টার সানডেতে বোমা হামলায় শ্রীলঙ্কার নেগোম্বো শহরে শতাধিক লোক প্রাণ হারান। সপ্তাহখানেক আগে শহরটিতে রাস্তায় চলাচল নিয়ে তর্ক-বিতর্ক থেকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় মুসলমান ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn