ঘূর্ণিঝড় মোরা বাংলাদেশের উপকূলে আঘাতের আগেই শ্রীলংকা ও ভারতে আঘাত হেনেছে। মোরার আঘাতে শুধু শ্রীলংকায় নিহত হয়েছে ২০১ জন। সেখানে মোরার প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কয়েকদিন ধরে মোরা’র প্রভাবে দেশটিতে ভারি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। দেশটির অন্তত ৫ লাখ মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। মোরার প্রভাবে ভারি বর্ষণে শ্রীলংকার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি-ঘরের ছাদ পর্যন্ত পানি উঠে গেছে।

আলজাজিরা জানিয়েছে, মোরার আঘাতে অন্তত ৪ লাখ ৫৭ হাজার মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। এদের অনেকেই দেশটির রাবার চাষের সঙ্গে জড়িত। দেশটির রাজধানী কলম্বো থেকে ৭৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দূরবর্তী এলাকা রাবার চাষের জন্য বিখ্যাত। এই এলাকার কৃষকরা বলছেন, ২০০৩ সালের পর এই প্রথম তারা বড় ধরনের হতাশায় ভুগছেন। শিগগিরই পানি নেমে না যাওয়ায় তারা আশা হারিয়ে ফেলছেন। এই অঞ্চলে গত কয়েকদিনে অন্তত ৫৩ জন নিহত ও আরো ৫৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

এদিকে  শ্রীলংকা ও ভারতে হানার পর মোরা এখন বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। আগামী ২৪ ঘন্টার  যেকোন সময় বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানতে পারে। মোরার প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ আগাম সর্তকতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উপকূলীয় ৯ জেলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ ও ৬ জেলায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বাতিল করা হয়েছে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বিমানবন্দরের সব ধরনের ফ্লাইট।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn