বার্তা ডেস্ক :: সবসময় সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় আদালতের দ্বারস্থ হন। ন্যায়বিচারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সেই অধিকার ফিরিয়ে দেন বিচারক। এবার নিজের অধিকার ফিরে পেতে বিচারের আশায় উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী নিজেই। তার নামে বরাদ্দ করা পাঁচ কাঠার প্লট বাতিলের নোটিশের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে রিট করেছেন। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত ওই প্লট বাতিল করে রাজউকের দেয়া নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন। পাঁচ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়ে প্লটটি অন্য কারো নামে বরাদ্দ না দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে, বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরীর নামে রেজিস্ট্রিকৃত প্লটের বিপরীতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিস্তির ১২ লাখ টাকার কিস্তি গ্রহণ করতে রাজউককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই প্লটটি বাতিল করে রাজউকের গত ৯ জুলাই দেয়া নোটিশ কেন অবৈধ ও কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিস্তির টাকা গ্রহণ করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে হবে।

শনিবার সংশ্লিষ্ট কোর্ট সূত্রে আদেশের বিষয়টি জানা গেছে। গত ৯ জুলাই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরীর নামে বরাদ্দকৃত উত্তরা-১৫ নম্বর সেক্টরের দুই নম্বর সড়কের ৯ নম্বর বাড়ির বরাদ্দ বাতিল করেন। প্লট বরাদ্দের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী নিজেই রিটটি দায়ের করেন। ২০০৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্লটটি বরাদ্দ পেয়েছিলেন বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী। বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দেন চৌধুরী ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হন। পরে ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট তিনি স্থায়ী বিচারপতির শপথ নেন। এখন তিনি হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সৌজন্যে : জাগোনিউজ২৪

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn