বার্তা ডেস্ক :: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ‘বিয়ের দাবি’তে প্রেমিক আব্দুল মজিদের বাড়িতে যায় প্রেমিকা ফরিদা। সেখানে গিয়ে প্রেমিকের পরিবারের সদস্যদের হাতে মারধরের শিকার হন ফরিদা, এমনটাই দাবি করেছেন তার পরিবার। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় মারা যান ফরিদা। হাসপাতাল কতৃপক্ষ বলছে, বিষপানে তার মৃত্যু হয়েছে। নিহত ফরিদা খাতুন (৩৫) উপজেলার হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের নগরডালা গ্রামের বাবর আলীর মেয়ে। রবিবার সকালে ফরিদার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়াডের সাবেক মেম্বার বাছেদ আলী জানান, মেয়েটির চাচাতো ভাই আব্দুল জলিল তাকে জানিয়েছেন, বিয়ের দাবিতে শনিবার বিকেল তিনটায় তার চাচাতো বোন ফরিদা মজিদের বাড়িতে গেলে মজিদ ও তার পরিবারের লোকজন ফরিদাকে বেদম প্রহার করে। পরে ফরিদাকে তার বাড়ির পাশে রেখে যায়। এ অবস্থায় ফরিদাকে উদ্ধার করে সন্ধ্যায় উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাতটায় ফরিদা হাসপাতালে মারা যায়।
তবে হাসপাতাল কতৃপক্ষ বলছে ভিন্ন কথা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান জানান, শনিবার সন্ধ্যায় ফরিদাকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সন্ধ্যা সাতটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফরিদা মারা যায়। বিষপানে তার মৃত্যু হয়েছে। শাহজাদপুর থানা পুলিশের ওসি সাঈদ মাহমুদ খান জানান, আনুমানিক ১৪ বছর আগে ফরিদার সঙ্গে তার স্বামীর বিচ্ছেদ হয়। পরে ফরিদার সঙ্গে পাশের গ্রাম হামলাকোলার আব্দুল মজিদের (২৬) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে মজিদ চলতি বছর অন্যত্র বিয়ে করেন। এ খবর শুনে শনিবার বিকেলে বিয়ের দাবিতে মজিদের বাড়িতে যায়। ওসি আরো বলেন, ময়নাতদন্তের আগে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনদের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। -কালের কণ্ঠ

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn