রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণ কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও নাহিদ হাসান নলেজ জানান, বৈধ উপায়ে ভারতে গিয়ে করোনাকালে আইনের বেড়াজালে আটক ২৫ বাংলাদেশী (চিলমারীর বাসিন্দা) প্রায় ৪ মাস ভারতের কারাগারে আটক থাকার পর শনিবার ভারতের ধুবড়ি আদালত তাদের মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। ভারতের হাইকোর্টের আইনজীবী অসীম দাস গুপ্ত এবং ধুবড়ি আদালতের আইনজীবী রাজস্বী দাস গুপ্ত আটক বাংলাদেশীদের পক্ষে আইনি লড়াই করেছেন। বাকি আইনি প্রক্রিয়া শেষে তারা দেশে ফিরতে পারবেন বলে আশা করছি। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে আটককৃতদের পরিবার তাদের মুক্তির খবর পেয়েছেন। সন্তানকে ফিরে পাবার জন্য মা, বাবা বেকুল, স্বামীকে ফিরে পাবার জন্য স্ত্রীর অপো সাথে পিতাকে ফিরে পাবার জন্য সন্তাদের যে ব্যস্ততা তা না দেখে বিশ্বাস করাটা মুশকিল। স্বজনরা প্রায় ৪ মাস পর প্রশান্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতেই কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজলোর রমনা ব্যাপারীপাড়া এলাকার বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবি বৈধ উপায়ে ভারতে যান। এর মধ্যে কয়েকজন ফিরলেও লকডাউনে আটক হন ২৬ জন। ভারতে ২য় দফা লকডাউন আগে চেংরাবান্ধা চেকপোষ্ট খুলে দেয়ার কথা শুনে তাঁরা আসামের জোড়হাটা থেকে ধুবড়ির উদ্যোগে রওনা দেন দেশের ফেরার জন্য। পশ্চিমবঙ্গের চেংরাবান্ধা চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু ৩ মে আসামের ধুবড়ি জেলার চাপোবৎ থানা পুলিশ ২৬ জনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। এবং আটককৃতদের বিরুদ্ধে ভিসা মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া এবং শর্ত ভঙ্গ করে সেখানে কাজ করা বা পেন্টামিক ‘ল’ ব্রেক লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে ভারতীয় পুলিশ। তাদের মুক্তির দাবিতে এলাকায় একাধিকবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন আটক ব্যক্তিদের স্বজন ও এলাকাবাসী। এরমধ্যে গত ১ জুলাই কারা হেফাজতে বকুল মিয়া নামে একজন মারা গেলে কয়েকদিন পর তার মরদেহ দেশে স্বজনদের কাছে কাছে হস্তান্তর করা হয়। অপর ২৫ বাংলাদেশির এখন মুক্তি মিললো। তাদের ফেরার অপেক্ষায়  স্বজনরা।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn