ভারতে এক মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যার দায়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া এ ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। খবর এনডিটিভি। ভারতের পূর্বাঞ্চলের প্রদেশ ঝাড়খণ্ডে ২৪ বছর বয়সী তাবরেজ আনসারি গত ১৮ জুন নির্যাতিত হওয়ার পর ২২ জুন মারা যান। গত কয়েক বছরে ঝাড়খণ্ডে বেশ কয়েকটি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। আর এসব গণপিটুনির শিকার হয়েছেন মুসলিমরা। তাবরেজ আনসারির বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগ এনে তাকে গণপিটুনি দেয়া হয়; যার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি তাবরেজকে একটি কাঠের লাঠি দিয়ে নৃশংসভাবে পেটাচ্ছেন। আক্রান্ত যুবক ছেড়ে দেয়ার আকুতি নিয়ে হাত জোড় করলেও তাতে কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই নির্যাতনকারীর। অন্য আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, জোর করে তাবরেজকে বলানো হচ্ছে- ‘জয় শ্রী রাম’ ও ‘জয় হনুমান’। তাবরেজের স্বজনদের অভিযোগ, তাবরেজের সঠিক চিকিৎসার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেও লাভ হয়নি। তার সঙ্গে কাউকে দেখাও করতে দেয়া হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বহু আগেই তাবরেজের মৃত্যু হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা।

বিবিসিকে তাবরেজের স্ত্রী শাহিস্তা পারভিন জানান, তার স্বামীকে সারারাত একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয় এবং পর দিন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তিনি বলেন, হিন্দু দেবতাদের প্রশংসা করতে অস্বীকৃতি জানানোর পরই তাকে নির্যাতন করা শুরু হয়। তাবরেজের স্ত্রী আরও বলেন, ওকে নির্দয়ের মতো মারা হয়েছে। কারণ ও মুসলিম। আমার কেউ নেই। কোনো শ্বশুর-শাশুড়িও নেই। আমি কী করে বাঁচব? আমি ন্যায়বিচার চাই। তবে ঝাড়খণ্ডের পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn