বার্তা ডেক্সঃঃমিথ্যা তথ্য দিয়ে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হলে এমপিওভুক্তির আদেশ কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। একই সঙ্গে অসত্য তথ্য প্রদানকারীর বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর নীলক্ষেতে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) সম্মেলন কক্ষে এমপিওভুক্তি বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন মন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে প্রক্রিয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যে কোনো অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা বা কোনো যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত না করার কোনো সুযোগ ছিল না। নীতিমালার পরিপূর্ণ অনুসরণ করা হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়ে কথা উঠেছে ইতোমধ্যে তা যাচাই করা হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠান যাচাই করেই প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এমপিও ছাড় করা হবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে এমপিওভুক্তি করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র ভৌগলিক, পার্বত্য এলাকা, প্রতিবন্ধীদের স্কুল, নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে বিশেষ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। আমরা কোথাও ভুল চাইনি, নিখুঁত চেয়েছি বিধায় জুলাইয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও অক্টোবরে ঘোষণা হয়েছে। আমরা যখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করি তিনিও নিখুঁত করতে চেয়েছেন। তারপরও কোথাও যদি অযোগ্য প্রতিষ্ঠান থাকে তাহলে আমরা যাচাই করবো। তিনি বলেন, এমপিওভুক্তির জন্য স্বীকৃতি একটি অন্যতম শর্ত। কেউ যদি এ শর্ত পালন না করে থাকে এবং এ আদেশে এমপিওভুক্ত হয়ে থাকে তাহলে পরবর্তীতে যাচাই করে উল্লেখিত শর্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার এমপিওভুক্তিতে কোনো রাজনৈতিক বিবেচনায় করা হয়নি।

শিক্ষার মান বাড়াতে কী পরিবর্তন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সমস্যা থাকে। শহরে অনেক প্রতিষ্ঠানের এমপিও চান না। কিন্তু গ্রামে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নিয়ে সমস্যা থাকে। বিকল্প কোনো কাজের চিন্তা থাকলে শিক্ষক যথাযথভাবে শিক্ষা দিতে পারেন না। যুদ্ধাপরাধী বা কুখ্যাত ব্যক্তির নামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধী বা কুখ্যাত ব্যক্তির ব্যক্তিদের নামে প্রতিষ্ঠিত চিহ্নিত প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরিবর্তন করা হচ্ছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। স্থানীয় পর্যায়ে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান থাকলেও এ সংক্রান্ত সব তথ্য মন্ত্রণালয়ে নেই। স্থানীয় পর্যায় থেকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি স্থানীয় প্রশাসন, স্থানীয় জনগণ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নজরে আনলে মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করবে। একই কলেজ জাতীয়করণ ও এমপিওভুক্তি দুটোই হয়েছে এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে প্রতিষ্ঠান একটি স্তর সরকারিকরণের পরেও এমপিওভুক্তি হয়েছে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি সরকারিকরণ হয়েছে এবং তার আগেই এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করা হয় এবং চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়। এ বিষয়ে কেউ রিপোর্ট না করায় বিভ্রান্তি হয়েছে। এটি কোনো অনিয়ম নয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক বছরই দেশের যোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করা হবে। এক্ষেত্রে প্রতি বছরই এমপিওর জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগেুলোকে আবেদন জমা দিতে হবে। সদ্য ঘোষিত ২৭৩০ প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির বিষয়ে নানা অসঙ্গতি এবং জনমনে বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন দানা বাঁধায় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন শিক্ষামন্ত্রী। অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেন ভুঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn