প্রতীকি ছবি

বার্তা ডেস্ক :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা গ্রামের প্রবাসী কবির। ১৫ বছর ধরে বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়েছেন স্ত্রী তহুরার (৫৫) কাছে। কিন্তু স্বামী বিদেশ থাকার সুযোগে ৬ বছর আগে বিয়ে করেন আরেকজনকে। বিষয়টি প্রবাসী স্বামীকে না জানিয়ে তার পাঠানো টাকা এতদিন ভোগ করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

জানা যায়, কবির প্রবাসে থাকার সময় একই গ্রামের সিরাজুল ইসলাম শিরনের (৬০) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তহুরার। গোপনে তারা বিয়ে করে। বিয়ের পর বিদেশ থেকে স্বামী কবিরের পাঠানো টাকা ও স্বর্ণালংকার কৌশলে হাতিয়ে নিতে থাকে স্ত্রী তহুরা ও তার পরের স্বামী শিরন। কবির দেশে ফিরেও জানতে পারে না স্ত্রীর এসব অপকর্ম। একপর্যায়ে জানাজানি হয় শিরনের সঙ্গে নিজ স্ত্রীর বিয়ে ও দৌহিক সম্পর্কের কথা। এ সময় শিরন জানায়, দীর্ঘ ৬ বছর আগে গোপনে তাদের বিয়ে হয়েছে। তারা বৈধ স্বামী-স্ত্রী। স্ত্রী তহুরার এই কথা শোনার পর হতবাক কবির। এখন বিচারের আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি। কবির ২০১৮ সালে দেশে ফিরে এলেও স্ত্রী তহুরা তার সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। এক সঙ্গে দুই স্বামীর ঘর করতে থাকে তহুরা। গত ১৫ ডিসেম্বর শিরনের সাথে তহুরার দৈহিক সম্পর্কের কথা জানাজানি হলে তারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয় দুজনে ২০১৫ সালে গোপনে বিয়ে করেছেন।

শিরন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তহুরাকে আমি ভাল বাসতাম। এজন্য সমাজের সবাই তাকে নির্যাতন করতো, নানা কথা বলতো। তাই আমি তাকে বিয়ে করেছি। তহুরা বেগম বলেন, যা শুনেছেন সবই সত্য। আমরা দুজন দুজনকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি। ভুক্তভোগী কবির হোসেন বলেন, ২০ বছরের সংসারী জীবনে আমার তিনটি মেয়ে সন্তান আছে। ১৫ বছর বিদেশ খেটে টাকা দিয়েছি। ৬ বছর আগে অন্যের সাথে বিয়ে করেও আমার ঘরে আছে। আমার অর্থ-সম্পদ সব লুটে নিয়ে গেছে। আমি এখন সমাজে বের হতে পারি না। আমার সবকিছু শেষ।-পূর্বপশ্চিমবিডি

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn