সিলেট:: প্রথম ধাপে সিলেট বিভাগের তিন পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আজ (২৮ ডিসেম্বর) সোমবার। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। নির্বাচনের পৌরসভাগুলো হচ্ছে- মৌলভীবাজারের বড়লেখা, সুনামগঞ্জের দিরাই ও হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ।  গত ২২ নভেম্বর এ তিন পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ তারিখ ছিলো ১ ডিসেম্বর, মনোনয়ন বাছাই ৩ ডিসেম্বর ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেখ দিন ছিলো ১০ ডিসেম্বর। এ তিন পৌরসভায়ই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ইভিএমে। বড়লেখা থেকে এ.জে লাভলু জানান, মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌরসভায় সোমবার রাত পোহালেই শুরু হবে ভোট উৎসব। নির্বাচন উপলক্ষে ইতোমধ্যে সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। পৌর এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনি সরঞ্জাম পৌঁছানোর পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।ত বড়লেখা পৌরসভায় প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এজন্য সাধারণ ভোটারদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। পাশাপাশি ভোট সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়েও ভোটারদের মাঝে সংশয় রয়েছে।  

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপে ২৮ ডিসেম্বর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে বড়লেখা পৌরসভার ১০টি কেন্দ্রে ৪৩টি ভোট কক্ষে (বুথের) ভোট গ্রহণ হচ্ছে। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১৫ হাজার ৪৪৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ৫২৩ জন ও মহিলা ভোটার ৭ হাজার ৯২০ জন।

জানা গেছে, বড়লেখা পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৬ জন ও নারী কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী (নৌকা), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুল ইসলাম (মোবাইল ফোন)। আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী বলেন, গত ৫ বছরে পৌরসভার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যার সুফল পৌরবাসী ভোগ করছেন। এখনও অনেক উন্নয়ন কাজ চলমান। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মানুষ আবার নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। পুনরায় নির্বাচিত হলে বড়লেখাকে একটি মডেল পৌরসভা হিসেবে রূপান্তিরত করবো।বিএনপি প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ভোটের পরিবেশ এখনও ভালো রয়েছে। এখন যদি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, তবে আমি জয়ী হবো বলে আশাবাদী।

স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, মোবাইলের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে মানুষজন আমার জন্য কাজ করছেন। আমি প্রার্থী হওয়ায় সাধারণ মানুষ খুবই উচ্ছ্বসিত। আমি নির্বাচিত হলে বড়লেখা পৌরসভার যত সমস্যা আছে সেগুলো দ্রুত সমাধানের পাশাপাশি বড়লেখাকে একটি মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলবো।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn