রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রীদের আবাসিক হল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার (এইচএসসি) ১০০ উত্তরপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুন্নুজান হল থেকে উত্তরপত্রগুলো উদ্ধার করে নিয়ে যান রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের প্রধান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তরুণ কুমার সরকার। উত্তরপত্রগুলো হলের দ্বিতীয় তলায় বারান্দায় থাকা একটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিন্নাত ফেরদৌসী। তিনি বলেন, ‘রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বিকাল ৩টার দিকে বিষয়টি আমাকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানান। আমরা হলে গিয়ে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে উত্তরপত্রগুলো উদ্ধার করি। সেগুলো বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে দেয়া হয়েছে।’ হল প্রাধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘কীভাবে উত্তরপত্রগুলো এখানে আসলো তা জানতে হলের গণরুমের বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে কেউ স্বীকার করেননি।’

তিনি বলেন, এখন বিষয়টি তদন্ত করে বের করার দায়িত্ব বোর্ড কর্তৃপক্ষের। যে শিক্ষককে তারা উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য দিয়েছিলেন, তিনি মূলত দায়ী। বোর্ড কর্তৃপক্ষ পরীক্ষক শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব জানতে পারবেন।’ রাজশাহী বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তরুন কুমার সরকার যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি গোপন সংবাদে জানতে পারি। পরে রাবির প্রক্টর ও মুন্নুজান হলের প্রাধ্যক্ষের সহায়তায় উত্তরপত্রগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ওই উত্তরপত্রগুলো রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ইসলামের ইতিহাসের (কোড নং: ২৬৮)। উত্তরপত্রগুলোর পরীক্ষক ছিলেন রাজশাহী নিউ ডিগ্রি গভ. কলেজের শিক্ষক ড. আবুল কালাম।’

তরুন কুমার সরকার বলেন, ‘উত্তরপত্রগুলো উদ্ধার করে কাস্টডিতে নিয়ে যাচ্ছি। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানসহ কর্তৃপক্ষ বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’ রাবি প্রক্টর অধ্যাপক মজিবুল হক আজাদ খান যুগান্তরকে বলেন, ‘উত্তরপত্রগুলো কীভাবে এখানে আসল তা জানা সম্ভব হয়নি। নির্দিষ্ট কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকেও উত্তরপত্র উদ্ধার করা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুম থেকে উত্তরপত্রগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। যেখানে শতাধিক ছাত্রী অবস্থান করছেন।’ তবে আবাসিক হল ও রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, নিউ ডিগ্রি গভ. কলেজের শিক্ষক ড. আবুল কালাম বোর্ড থেকে মূল্যায়নের জন্যে পাওয়া দুই বান্ডিল উত্তরপত্র নিজে না মূল্যায়ন করে শাহ্ মখদুম কলেজের শিক্ষক ও এমপি থ্রি’র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পরিচালক মাসুদ রানাকে দেন। এরপর মাসুদ রানা আবার ওই উত্তরপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক ছাত্রকে দেন। ওই ছাত্র তা তার সহপাঠী এক ছাত্রীকে দেন। ওই ছাত্রী মুন্নুজান মুন্নুজান হলের গণরুমে অবস্থান করছেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn