সিলেটে চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তি দখলের মামলায় দণ্ডিত রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের জামিন আবেদনের বিপরীতে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। এতে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ করে দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়ার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই আদেশ দেন রাগীব আলীর আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম কাফি। তিনি জানান, উচ্চ আদালতের আদেশের পর এই মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের জামিন বহাল থাকলো। রাগীব আলীর একটি ঘনিষ্টসূত্রে জানাগেছে- রাগীব আলীর পক্ষে শুনানীতে অংশ নেন ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস, ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান, ব্যারিস্টার মনসুরুল হক ও ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম কাফি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল দিলুরুজ্জামান। চলতি বছরের দুই ফেব্রুয়ারি সিলেটের তারাপুর চা-বাগান লিজের ক্ষেত্রে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির বিষয়ে দায়ের করা মামলায় বিতর্কিত ব্যবসায়ী রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাইকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
আসামিদের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান হিরো ৪৬৬ ধারায় রাগীব আলী ও তার ছেলেকে ৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড, ৪৬৮ ধারায় সমপরিমাণ সাজা প্রদান করেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ১৬ ফেব্রুয়ারি দণ্ডপ্রাপ্তরা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন। আপিলে তারা জামিন চাইলে ২৪ মে সিলেটের বিশেষ দায়রা জজ আদালতে তা নামঞ্জুর করে দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে তারা আবেদন করেন। এছাড়া ৪২০ ও ৪৭১ ধারায় ১ বছর করে ২ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয় তাদের। পৃথক ৪টি ধারায় সিলেটের কথিত দানবীর রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাইকে মোট ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn