আপনারা লিখে রাখুন শেখ হাসিনার অধিনেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে আসা ছাড়া খালেদা জিয়ার আর কোনও পথ খোলা নেই।’ বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ে নিজ দফতরে এসে সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনও মন্ত্রীকে সচিবালয়ে দেখা যায়নি। তবে বেলা সাড়ে ১০টার পর সচিবালয়ে আসেন- অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বিরেন শিকদার। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘এ বছর যথাযত মর্যাদায় ও শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ পালিত হয়েছে। সারাদেশে বড় ধরনের কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। গতবছর শোলাকিয়ার হামলা হলেও এ বছর কোথায় দুর্ঘটনা ঘটেনি। আমরা ভোলার চারজন এমপি জনগণের কাছে ছিলাম। তারা বলেছেন, তারা ভালো আছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘দুই একটি পণ্য ছাড়া রোজায় বাজার নিয়ন্ত্রণে ছিল। চাল ও চিনির সংকট ছিল কৃত্রিম সংকট। চালের দাম দুই তিন টাকা করে কমেছে। গ্রামে যদি পাকা রাস্তা থাকে এবং বিদ্যুৎ থাকে তবে সেটি গ্রাম থাকে না, শহরের পরিণত হয়। এবার আমি গ্রামে গিয়ে তাই দেখে এলাম।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি গ্রামেও বিএনপি মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। রমজান মাসে ইফতার পার্টি হয়। আমরাও দিয়েছি। কিন্তু খালেদা জিয়া প্রতিটি ইফতার পার্টিতে যেভাবে কটাক্ষ করে শেখ হাসিনার নাম নিয়েছে তা অশোভনীয় ও মার্জিত নয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশেই ক্ষমতাসীন সরকারের অধিনেই নির্বাচন হয়। ব্রিটেনে থেরেসা মে, আমেরিকায় বারাক ওবামার নেতৃত্বে নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে এবং সহায়তা করবে সরকার। সেই সরকারের নেতৃত্বে থাকবে শেখ হাসিনা। অন্য কারও এখানে আসার সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ক্ষমতা নেই নির্বাচন বন্ধ করার। ২০১৪ সালে সহিংসতা করেছে, মানুষ পুড়িয়েছে কিন্তু নির্বাচন বন্ধ করতে পারেনি। উনি এ ধরনের নৈরাজ্য করে সামরিক সরকার আনতে চেয়েছিলেন কিন্তু পারেননি। নির্বাচন হবে তবে তিনি নির্বাচনে আসবেন কিনা সেটা তার বিষয়। নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে নির্বাচন কমিশন। অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৪ সালের নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হলে আইপিইউতে সাবের হোসেন চৌধুরী ও সিপিইউতে শিরিন শারমিন চৌধুরী সভাপতি কেমনে হলেন?’ চাল আমদানির ওপর শুল্ক কমানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমদানি শুল্ক কমানোয় প্রতি কেজিতে দাম কমবে ৬ টাকা এবং পুরোটা প্রত্যাহার করলে কমতো ৯টাকা। যারা মিল মালিক তারা চাল মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছিল।’ তিনি আরো বলেন, ‘ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ভিয়েতনাম থেকে চাল আসবে। হাওরে বন্যার কারণে কয়েক লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন কম হয়েছে।’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn