আজ (সোমবার) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার থেকে এই ল্যাবে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরু হবে। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক জিয়াউল ফারুক জয় বলেন, সোমবার (১৪ মে) দুপুর ২টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সাংসদ ড. একে আব্দুল মোমেন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ল্যাবের উদ্বোধন করবেন। মঙ্গলবার থেকে এখানে নমুনা পরীক্ষা শুরু হবে।  পরীক্ষা শুরুর লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিশ্ববদ্যিালয়ের পিসিআর ল্যাবের প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ল্যাব পরিচালনার জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণও প্রদান করা হয়েছে।  গত ৯ এপ্রিল শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়কে করোনা শনাক্ত করার জন্য পিসিআর ল্যাব চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকি তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর গত ৭ এপ্রিল থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। সিলেট বিভাগের মধ্যে এই এইটি ল্যাবেই করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ওসমানীর ল্যাবে একদিনে সর্বোচ্চ ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সিলেট বিভাগের চার জেলা মিলে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে সাড়ে চারশ’ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ওসমানীর ল্যাবে পাঠানো হয়। আর গড়ে পরীক্ষা হয় দেড়শ’ টি। ফলে ওসমানীর ল্যাবে জমা পড়ে থাকে অনকে নমুনা। কয়েকদিনের নমুনা জমে যাওয়ায় রিপোর্ট দিতে সংকট সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় ওসমানীর ল্যাবে জমা হওয়া নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এতে পরীক্ষার ফলাফল পেতে সপ্তাহখানেক লেগে যায়। তবে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাব চালু হলে সিলেটে করোনা শনাক্তকরণের সংকট অনেকখানি কেটে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিস্টরা। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব পরিচালনা করবে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ (জিইবি) ও বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ (বিএমবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ই’ ভবনে জিইবি বিভাগে এ ল্যাব চালু হচ্ছে। শাবিপ্রবি’র জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো.শামসুল হক প্রধান বলেন, গত এক সপ্তাহ থেকে আমাদের শিক্ষকরা এটি পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ২২ থেকে ২৩ জনের একটি টিম তৈরি করা হয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn