ফয়সল আহমদ রুহেল :: মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। শিক্ষা জীবনের দিনগুলি কেটেছে অভাব অনটনে। দেশমাতৃকার টানে যুদ্ধ করেন। কৃষি ব্যাংকে লোভনীয় চাকুরির সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু জীবনের লক্ষ্য ছিল শিক্ষকতা। ব্যাংকে না গিয়ে জড়িয়ে যান শিক্ষকতায়। মাসিক বেতন ছিল তখন ৬০ টাকা। একজন আদর্শ শিক্ষকও কেবল নিজের জীবিকার জন্যই এ পেশা গ্রহণ করেন না, প্রজন্মের পর প্রজন্মকে আলোকিত করতে নিজের জীবন-যৌবনকেও নির্দ্বিধায় উৎসর্গ করেন। শ্রদ্ধেয় সুবোধ রঞ্জন দাস দীর্ঘ ৩৪ বৎসর শিক্ষকতা মহান পেশায় নিজের জীবন-যৌবনকে বিলিয়ে দেন। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ব্রজেন্দ্রগঞ্জ আর,সি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ইংরেজী শিক্ষক।

জন্ম : সুবোধ রঞ্জন দাস সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার ব্রজেন্দ্রগঞ্জ এর মামুদ নগর গ্রামে এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মৃত সুরেন্দ্র চন্দ্র দাস ও মাতা মৃত প্রফুল্ল ময়ী দাস। সুবোধ রঞ্জন দাস পাঁচ ভাই এর মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বড় ভাই এবং ৩য় ভাই বেঁচে নেই। চতুর্থ ভাই সজল কান্তি দাস সুনামগঞ্জের ধন্য ব্যবসায়ী। পঞ্চম ভাই অডভোকেট অবনী মোহন দাস এম,এ,এল,এল,বি। তিনি দুই বৎসর ওকালতি পেশায় ছিলেন। পরে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে চলে আসেন। তিনি একবার শাল্লা উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিল। এখন সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক কর্মকান্ডেই থাকেন। বর্তমানে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি। চার ভাইয়ের সন্তানরা সকলেই মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত।

শিক্ষা জীবন : সুবোধ রঞ্জন দাস এর প্রাথমিক শিক্ষার হাতে খড়ি নিজ গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৬৬ইং সনে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার রাজা নগর কে,সি,পি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। এরপর ১৯৭০ ইং সনে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। প্রাইভেট পরীক্ষা দিয়ে নংসিংদী সরকারি কলেজ হতে ১৯৮০ ইং সনে বিএ পাশ করেন। তিনি ২০০০ ইং সনে বিএড সম্পন্ন করেন।

কর্মজীবন : শ্রদ্ধেয় শিক্ষক সুবোধ রঞ্জন দাস প্রাইমারী শিক্ষক হয়ে শাল্লা থানার ঘুঙ্গিমারগাঁও মডেল প্রাইমারিতে অক্টোবর ১৯৬৬ ইং সনে যোগদান করেন। তখন মাসিক বেতন ছিল ৬০ টাকা। এক বৎসর চাকুরী করার পর চাকুরী ছেড়ে দেন। ১৯৭২ ইং সনে কৃষ্ণপুর একটি হাইস্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই উচ্চ বিদ্যালয়ে এক বৎসর শিক্ষকতা করেন। এরপর শ্যামারচর দাখিল মাদ্রাসায় ইংরেজী শিক্ষক হিসেবে ১৯৭৭ ইং সনের এপ্রিল মাসে যোগদান করেন। ওই মাদ্রাসায় সাফল্যের সাথে ৭ বৎসর শিক্ষকতা করেন। তিনি ১৯৮৪ ইং সনের ১৫ এপ্রিল ব্রজেন্দ্রগঞ্জ আর,সি উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ওই বিদ্যালয়ে একটানা ২৫ বৎসর শিক্ষকতার পর ২০০৯ ইং সনের ২৫ আগষ্ট অবসরে চলে যান।

শৈশব :সুবোধ রঞ্জন দাস প্রাথমিক শিক্ষার হাতে খড়ি পরম পূজনীয় পিতা-মাতার হাতে। বাবা প্রথমে একটি বাল্য শিক্ষা বই যার লিখক রাম সুন্দর বসাক এবং একটি নব ধারাপাত বই হাতে তুলে দেন। পরে নিজ গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশুনা শেষ করেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রদ্ধেয় স্যার মহোদয়গণ ছিলেন, রথীন্দ্র নারায়ন চৌধুরী, সুশীল কুমার দাস ও নিরঞ্জন কুমার দাস, সুতলাল দাস, রমেন্দ্র চক্রবর্তী। গুণী শিক্ষক সুবোধ রঞ্জন দাস ১৯৬০ খ্রি. ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ব্রজেন্দ্রগঞ্জ আর সি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দিরাই, সুনামগঞ্জ এ ভর্তি হন। তাঁর বাবা নিজে নিয়ে যান এবং ভর্তি করান। থাকার জায়গা শ্যামারচর গ্রামে আপন মাসির বাড়িতে। মাসি দুর্লভী ময়ী দাস সুবোধ রঞ্জন দাসকে নিজের ছেলের মত ভালবাসতেন।

বর্ণাঢ্য জীবন : ১৯৬১ ইং সালের এপ্রিল মাসে সুবোধ রঞ্জন দাসের পিতা মৃত্যুবরণ করেন। তিনি অসহায় অবস্থায় পড়ে যান। উল্লেখ্য, সুবোধ রঞ্জন দাসের পিতা মৃত্যু শয্যায় সুরেন্দ্র চন্দ্র দাস পাঁচ ছেলেকে ডেকে এনে বড় ছেলে সুনীল কুমার দাসকে সম্বোধন করে বললেন, ‘তোমরা যদি পার, তবে আমার সুবোধকে পড়াশুনায় আপত্তি দিও না। আর যদি না পারো তবে আমার তোমাদের উপর কোনো দাবি রইলো না। কারন সুবোধ রঞ্জন দাসের জন্ম মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারে, আর্থিক অবস্থা দুর্বল ছিল। সুবোধ রঞ্জনের মাসি বললেন, ‘তোমাদের পাশে আমি আছি’। এতে করে তাদের বড় ভাই উৎসাহিত হলেন। একটাই কারণ আমার মাসির কোন সন্তান ছিল না। এইভাবে সুবোধ রঞ্জন দাস ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত মাসির বাড়ি থেকেই পড়াশুনা করেন। ১৯৬৪ ইং সনে ৯ম শ্রেণীতে গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয় শাল্লা, সুনামগঞ্জ এ ভর্তি হন। মাসির প্রচেষ্টায়ই আনন্দপুর সখিচরণ রায় এর বাড়িতে থাকার জায়গা হয়। কিন্তু ৩ মাস পর এখানে বাসার কোন ব্যবস্থা না থাকায় আঙ্গারুয়া গ্রামে মাসি নিজে গিয়ে তার মাসতুত ভাই তথা কুলেন্দ্র কুমার দাস এর বাড়িতে অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা পর্যন্ত থাকার ব্যবস্থা করেন। অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষার পর টিসি নিয়ে রাজা নগর কে,সি,পি উচ্চ বিদ্যালয়, দিরাই, সুনামগঞ্জ এ ভর্তি হন। সেখানে সুবোধ রঞ্জন দাসের বড় ভাই এর শ^শুর বাড়ি সিরারচর গ্রামে বাসার ব্যবস্থা হয়। সেখান থেকেই এসএসসি পাশ করেন। খুব অভাব অনটনের ভিতর দিয়েই দিনগুলি অতিবাহিত হয়। এরপরও মা-মাসি ও ভাইদের উৎসাহ ও সাহসিকতায় প্রশংসাপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে সুনামগঞ্জ কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য যান। সেখানে গিয়ে সিনিয়র ছাত্র গৌরাঙ্গ দেশী এর মেসে উঠেন। সেই বাবু গৌরাঙ্গ দেশী সুবোধ রঞ্জন দাসকে বললেন, ‘কলেজে ভর্তি হয়ে কোন লাভ নাই। আগামীকাল প্রাইমারী শিক্ষা অফিসে (সুনামগঞ্জ) প্রাইমারী শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা হবে। আজ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।’ তাই তিন খামখেয়ালীভাবে বিকাল ৫ ঘটিকায় শিক্ষা অফিসে আবেদন করেন। পরের দিন মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে পাস করেন। তখন শাল্লা থানার এস,আই (শিক্ষা) জনাব গাজি আলী নেয়াজ তাকে খুব উৎসাহিত করলেন। তাই কলেজে ভর্তি না হয়ে প্রাইমারী শিক্ষক হয়ে শাল্লা থানার ঘুঙ্গিমারগাঁও মডেল প্রাইমারিতে যোগদান করেন। এক বৎসর চাকুরী করেন। আরো এক বৎসর পর হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজে ভর্তি হন। স্নেহময়ী মাসি নিজেই তাঁকে হবিগঞ্জ নিয়ে যান এবং মাসির গুরুগৃহে (বৈঠক বাড়ি) এক মাসের জন্য থাকার ব্যবস্থা করেন। উল্লেখ থাকা প্রয়োজন সেখানে কোন টাকা পয়সা লাগে না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল এর মধ্যেই রাতে বৈঠক বাড়ি চুরি হয়ে যায়। আর্থিকভাবে খুব ক্ষতিগ্রস্ত হন। ছাত্র পড়ান আর কিছু বাড়ি থেকে টাকা পাঠায়। এইভাবে কষ্ট করে ১৯৭০ ইং সনে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৭১ ইং বিএ ক্লাসে ভর্তি হন। এই বৎসর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। পরিবার ভারতে শরাণার্থী হয়ে চলে যায়। তিনিও মুক্তিযুদ্ধে চলে গেলেন। যুদ্ধ শেষে সকলই বাড়ি ফিরে আসেন। বিএ পড়ার কোন সুযোগ নেই। কৃষ্ণপুর একটি হাইস্কুলে এক বৎসর শিক্ষকতা করেন। এইচএসসি পাশ করার পর কৃষি ব্যাংকে চাকুরি করার সুযোগ পেয়েছিলেন। ব্যাংকে না গিয়ে শ্যামারচর দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতায় জড়িয়ে যান। উক্ত মাদ্রাসা প্রধান মৌলানা শরিয়ত আলী ও সহ. শিক্ষক মৌলানা আব্দুল মজিদ, তারা উভয়েই তাকে উৎসাহিত করেছেন প্রাইভেট বিএ পরীক্ষা দেওয়ার জন্য।

ব্যবসা : সুবোধ রঞ্জন দাস বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ১৯৭৩ ইং সনে। মা বললেন, ‘একটি ব্যবসা খোলার জন্য।’ এই কথা মোতাবেক শ্যামারচর বাজারে একটি কাপড়ের ব্যবসা চালু করেন। ব্যবসার অংশীদার ছিল নিকুঞ্জ মোদক। সে ছিল ব্যবসায় অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোক। তিনি যখন মাদ্রাসায় পড়াতে যেতেন তখন ঐ নিকুঞ্জ বাবু কর্মচারীকে নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতেন। এতে করে ব্যবসা এবং শিক্ষকতার কাজও চলে। অপরদিকে, ব্যবসা ছেড়ে অংশীদারকে দিয়ে দেন। এইভাবে তিনি ব্যবসা থেকে অব্যাহতি নেন।

পারিবারিক : এই গুণী মানুষ দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। ১ম ছেলে বিপ্লব হোম নান্নু প্রভাষক,শাল্লা সরকারী ডিগ্রি কলেজ। তার সহধর্মিনী অর্থাৎ শিক্ষকের বড় পুত্র বধু বনশ্রী মজুমদার, এম,কম, প্রধান শিক্ষিকা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ২য় মেয়ে রিয়েনা হোম দাস বাপ্পী বি,এ, শিক্ষিকা, দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়। জামাতা কংকন তালুকদার এম, এ শিক্ষক, শাল্লা সরকারি ডিগ্রি কলেজ। ৩য় ছেলে পল্লব হোম দাস এম,এ( ইংরেজী )বি,সি,এস প্রশাসনিক। বর্তমানে এন,ডি,সি সিলেট জেলা অফিসে কর্মরত। তার সহধর্মিনী অর্থাৎ শিক্ষকের ছোট পুত্র বধু প্রার্থীতা দাস পুরকায়স্থ এম,এস,সি (চাকুরী করবে না)। ৩য় ছেলে পল্লব হোম দাস চাকুরীজীবী পছন্দ করে না। ছেলে-মেয়ের উন্নতির পেছনে শিক্ষকের সহধর্মিনীর ভূমিকা অবিস্মরণীয়। শিক্ষকের সহধর্মিনী শিমলা রানী দাস যদিও গৃহিনী তথাদি তার ছেলে মেয়ের প্রতি পরিচর্যা ও সার্বক্ষণিক লেখাপড়ার প্রতি খেয়াল রাখা তার চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাই তার অবদান প্রশংসনীয়।

জীবন যুদ্ধ : গুণী শিক্ষক সুবোধ রঞ্জন দাস জীবন যুদ্ধে বা তাঁর পরিবার জয়লাভ করেছে। এর একটা মূল কারণ হচ্ছে তারা পাঁচ ভাই এখনো একত্রেই আছেন। ভিন্ন হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। মিলে মিশে থাকা তাদের স্বভাবজাত ধর্ম। সর্বোপরি সৃষ্টিকর্তার আর্শীবাদে তাদের পরিবার একটা অবস্থানে পৌঁছেছে।

২০২২ সালে অবসরপ্রাপ্ত গুণী শিক্ষকদের নিয়ে কাজ করা হবিগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য শিক্ষক সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার কৃতি সন্তান জনাব টি, আলী স্যারের নামে প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাজ্য ভিত্তিক চ্যারেটি সংস্থা টি,আলী স্যার ফাউন্ডেশন সুনামগঞ্জ জেলার প্রত্যেক উপজেলায় অবসরপ্রাপ্ত দুইজন আদর্শ শিক্ষককে সম্মাননা পদকে মনোনয়নে জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দিরাই উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত আদর্শ শিক্ষকের সম্মাননার স্বীকৃতি হিসেবে টি, আলী স্যার ফাউন্ডেশন সম্মাননা পদকের মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।

সুনামগঞ্জ জেলার ১১ উপজেলার ২২ জন মনোনয়নপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জীবনী ধারাবাহিকভাবে লিখছেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি টি, আলী স্যারের পুত্র বৃটেনের জনপ্রিয় চ্যানেল এস টেলিভিশনের সাংবাদিক ফয়সল আহমদ (রুহেল)।

উল্লেখ্য, ২২ জন মনোনয়নপ্রাপ্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে থেকে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা ৫ জনকে আর্থিক সহযোগিতা এবং জেলার আদর্শ শিক্ষকের স্বীকৃতি হিসেবে ৫ জন শিক্ষককে টি আলী স্যার ফাউন্ডেশন সম্মাননা পদকে ভুষিত করবে সংস্থাটি।

সুবোধ রঞ্জন দাস ব্রজেন্দ্রগঞ্জ আর,সি উচ্চ বিদ্যালয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন দুই যুগের মতো সময়। তখন তিনি শিক্ষার্থীর জীবনে অবতীর্ণ হন অভিভাবক রূপে। আন্তরিকতার সাথে শ্রেণী কক্ষে পাঠদান করেন। শুধু স্কুল নিয়ে ভাবনা ছিল। এমনকি তার বড় ভাই ছোট ভাই মিলে সংসার পরিচালনা করতেন। সংসারের জন্য তার কোন চিন্তাভাবনা ছিল না। তাই তিনি শিক্ষকতার কাজে নিবেদিত প্রাণ। দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে তার বিরুদ্ধে ছাত্র অথবা ছাত্র অভিভাবকদের কোন অভিযোগ ছিল না। কারণ একটাই তিনি ন্যায়ের পথে থেকেছেন। সত্য ও সুন্দরের চর্চা করেছেন। তিনি সুনামের সাথে শিক্ষকতা পেশা থেকে অব্যাহতি নেন। নিরাপদেই অবসর জীবন চলছে। আমরা এই আদর্শিক গুরুর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn