প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের শিশুরা হলো আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশুদের প্রতি কোনো অন্যায়-অবিচার বরদাশত করা হবে না। যারা শিশু নির্যাতন বা হত্যা করছেন তাদের অবশ্যই কঠোর সাজা পেতে হবে। শুক্রবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেলের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সুনামগঞ্জে পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে মিয়া হত্যাকাণ্ডের দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুদের ওপর অত্যাচার বেড়েছে। বাবা হয়ে সন্তানকে হত্যা করছে অন্যকে ফাঁসানোর জন্য। কী এক মানসিকতা! এই ধরনের হীন মানসিকতা সমাজে বেড়ে চলেছে। তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের আর কোনো শিশু যেন নির্যাতনের শিকার না হয়। প্রতিটা শিশু যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে। আর প্রতিটা শিশুর জীবন যেন অর্থবহ হয়, সেটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। শিশু যেন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ না করে সেদিকে সবার লক্ষ্য রাখতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি শিশুদের খেলাধুলায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, খেলাধুলা ও সংস্কুতি চর্চায় শিশুদের অংশ নিতে হবে। আর সমাজের খারাপ দিকগুলো, যেমন মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস– এসব থেকে দূরে থাকতে হবে। সততার সঙ্গে জীবনযাপন করতে হবে। শুধু নিজে খাব, নিজে করবো তা নিয়ে ভাবলে হবে না। তোমাদের পাশে দরিদ্র ও প্রতিবন্ধী শিশু দেখলে তাদের অবহেলা করো না। কারণ তারাও তোমাদের মতোই মানুষ। এতে তাদের তো কোনো দোষ নেই।
এসময় সবাইকে শিশুদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুরা যেন ঝুঁকিমুক্ত থাকে সে ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি আমরা। ঝরে পড়া শিশুদেরও শিক্ষা ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছি। এতিমদের জন্যও কর্মসূচি নিয়েছি। প্রতিবন্ধী যারা তাদেরও তো কোনো দোষ নেই। তাদের জন্যও আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এই মুহূর্তওে যে শিশুটা জন্ম নেবে তার জীবনও যেন সুন্দর হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা ইতিমধ্যে অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। সব মানুষই উন্নত, সুন্দর ও নিরাপদ জীবন পাবে। আমরা মাতৃমৃত্যুর হার, শিশু মৃত্যুর হার কমিয়েছি। শিশুদের জন্য অধিকতর নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn