এখনো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের সার্টিফায়েড কপি হাতে পায়নি বিএনপি। ফলে কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য আপিল ও জামিন আবেদনে সময় লাগছে। শীঘ্রই ছাড়া পাচ্ছেন না। এখনো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের সার্টিফায়েড কপি না পাওয়ায় তার আপিল ও জামিন আবেদনে সময় লাগছে। এর সাথে যোগ হয়েছে তিন মামলায় শ্যোন এ্যারেস্ট। সোমবার কুমিল্লায় নাশকতার একটি মামলা, ঢাকার তেজগাঁও ও শাহবাগ থানার দুটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।  এর ফলে শীঘ্রই ছাড়া পাচ্ছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন। এতে  সহসা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুক্তি পাওয়া নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে সংশয় ও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আরও কয়েকটি মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে বলে জানাগেছে। আর তা হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জামিনে বের হওয়া দীর্ঘায়িত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।নেতাকর্মীরা বলছেন, খালেদা জিয়াকে দীর্ধদিন কারাগারে রাখতে চায় সরকার। যাতে করে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন। এজন্য সরকার ষড়যন্ত্র করে এসব করছে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, খালেদা জিয়ার কারামুক্তি দীর্ঘায়িত করতে সরকার ষড়যন্ত্র করছে। আর এজন্যই খালেদা জিয়াকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকার চায় খালেদা জিয়ার কারাবাস দীর্ঘায়িত হোক। তাই জামিনে থাকা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এটির মাধ্যমে পরিষ্কার হয় যে সরকার বিএনপির চেয়ারপারসনের জামিন বিলম্বিত করতে চায়। আর সেই জন্য তারা নতুন ষড়যন্ত্র করছে। সরকার নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতেই খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় রায়ের পেছনে সরকারের অন্যয় ইঙ্গিত রয়েছে। আওয়ামী লীগ চায় আবারও ৫ জানুয়ারির মতো একতরফা ভোট করে ক্ষমতা ধরে রাখতে। বিএনপি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলন থেকে সরে আসবে না এবং তাঁকে মুক্ত করেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন রুহুল কবির রিজভী। এ ছাড়া সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এদিকে আরো তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কারা-মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার উদ্দিন এই তথ্য জানিয়েছেন। আইজি প্রিজন জানান, খালেদা জিয়াকে কুমিল্লা এবং ঢাকার তেজগাঁও ও শাহবাগ থানার তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

যে তিনটি মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তার মধ্যে একটি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলার মামলা। চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজার সংলগ্ন জগমোহনপুর এলাকায় বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের মামলায় গত ২ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। ওই মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানোর কথা জানতে পেরেছেন তাঁর আইনজীবীরা। এজন্য তাঁরা জামিনের আবেদন করারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অন্য আর কোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তা তাঁরা জানেন না।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn