সিলেট: ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসের ঠিক প্রাককালে শোকে ভাসিয়ে চলে গেলেন বঙ্গবন্ধুর এক সৈনিক  আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আ ন ম শফিকুল হক । বাংলাদেশ সময় বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি নগরীর সোবহানীঘাটস্থ একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর হযরত শাহজালাল (রহ.) এর দরগাহ মসজিদে জানাজা শেষে তাকে দরগাহ কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক জগলু চৌধুরী। আ ন ম শফিক দীর্ঘদিন ধরে দূরারোগ্য ক্যান্সার রোগে ভূগছিলেন। এর আগে তিনি ভারতে গিয়ে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করে এসেছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ মেয়ে ও ২ ছেলে সহ অসংখ্য আত্বীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
জগলু চৌধুরী জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আ ন ম শফিকুল হকের মরদেহ নেয়া হবে। সেখানে সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধানিবেদনের জন্য প্রায় এক ঘন্টা রাখা হবে। শিক্ষকতা দিয়ে পেশা জীবন শুরু করেছিলেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মৌলভীরগাঁওর আ ন ম শফিকুল হক। ছাত্রলীগ দিয়েই তার শুরু হয়েছিল রাজনীতিরপাঠ। তাই বেশিদিন আর শিক্ষকতা করা হয়নি। রাজনীতিতেই পুরোটা সঁপে দেন নিজেকে। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও তিনি জেলা আওয়ামী লীগের দুইবারের সাধারণ সম্পাদক ও দুইবারের সভাপতি ছিলেন। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দু:সময়ে সিলেটে তিনি ছিলেন দু:সাহসী কান্ডারী। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্যও তিনি।

 পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক

 বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সিলেট জেলা শাখার সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সংগঠনের জাতীয় পরিষদ সদস্য বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ আ ন ম শফিকুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সরকারেরর পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এক শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন আ ন ম শফিকুল হক বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলে আওয়ামী লীগের একজন দক্ষ সংগঠক, দলের দুঃসময়ের যোগ্য কান্ডারি হিসেবে দলকে সুসংগঠিত করতে একজন নিবেদিত প্রাণ নেতা ছিলেন। তার সততা, যোগ্যতা, রাজনৈতিক দূরদর্শীতার ফলে নিজ দল ও দলের বাহিরে সকল মহলে  একজন আদর্শীক নেতা হিসেবে সুখ্যাতি অর্জনে তিনি সক্ষম হয়েছিলেন।  ড. মোমেন মরহুমের কর্মময় জীবনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আ ন ম শফিকুল হকের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ সহ সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে শুণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহজে পুরণ হবার নয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহান আল্লাহর কাছে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজন, রাজনৈতিক, সহকর্মী, শুভাকাঙ্খী সকলের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।

সাবেক অর্থমন্ত্রীর শোক

 আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আ ন ম শফিকুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।এক শোকবার্তায় মুহিত বলেন, আওয়ামী লীগের দু:সময়ে এডভোকেট আবু নছর ও আ ন ম শফিকুল হক কান্ডারির ভূমিকা পালন করেছেন। দলের জন্য তারা আজীবন কাজ করে গেছেন। আওয়ামী লীগে আ ন ম শফিকের যে অবদান তা কখনোই ভুলার নয়। দল ও সিলেটের মানুষ তাকে চিরদিন স্মরণ রাখবে। তাঁর মৃত্যুতে সিলেটের রাজনীতিতে যে শূণ্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা সহজে পূরণ হবার নয়। আবুল মাল আবদুল মুহিত শোকবার্তায় আ ন ম শফিকের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। 
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn